Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষির আধুনিকায়নই তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করবে

সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

তামাক ও তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো থেকে প্রতিবছর সরকারের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে,পরোক্ষভাবে তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত লোকদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের জন্য। শুধু যারা ঢাকায় বসবাস করে,তারা সঠিকভাবে তাদের ট্যাক্স দিলে তামাক কোম্পানির এই ট্যাক্স পরিহার করা সহজ হবে এবং তামাক উৎপাদনও বন্ধকরা যাবে। তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যাযমূল্য নিশ্চিত করা। কৃষিপন্যের ন্যাযমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষির আধুনিকায়ন,যান্ত্রিকিকরণ এবং রপ্তানির বাজার অপরিহার্য। সামগ্রীক অর্থে কৃষির আধুনিকায়নই তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করবে চাষিদের।
গতকাল কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর আগারগাঁও এ পিকেএসএফ’র অডিটোরিয়ামে তামাক বিরোধী জাতীয় প্ল্যাটফর্ম এর উদ্যোগে ‘সেমিনার ও তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক-২০১৯’-এ এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণায় ২০৪০ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে তামাক শতভাগ নির্মূল । কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণ্যিজ্যিক কৃষি,আধুনিক কৃষি করা গেলে ২০৪০ সালের আগেই তামাক মুক্ত সমাজ গড়া যাবে। এরই মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্র অর্জন সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সকলের অংশগ্রহণ জরুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত তথ্যে দেখা যায়, বিশ্বের তামাক উৎপাদনকারি ২০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম, প্রথমে আছে চিন। বাংলাদেশের মধ্যে তামাক উৎপাদনকারী জেলার মধ্যে প্রথম হচ্ছে কুস্টিয়া জেলা। তামাক চাষের নিবিরতা ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৪৫ শথাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২১৩ শতাংশ হয়েছে। এতে আরো দেখানো হয় যে সামগ্রীক ভাবে তামাক চাষের চেয়ে সবজি চাষ লাভজনক। তামাক উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করা গেলে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভেঙ্গে কৃষি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে তামাক বিরোধী জনসচেতনাতা বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকার জন্য প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি উদ্যোগ, গবেষণা ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষ পদক প্রদান করা হয় মোট চার জনকে। সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক প্রফেসর ড. প্রাণ গোপাল দত্ত।
পিকেএসএফ এর সভাপতি ড. খলীকুজ্জমান আহমদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় আধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল মালিক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ