পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : একদিকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম উৎপাদন অন্যদিকে রোয়ানুর পানিতে ভেসে গেছে চট্টগ্রামে মজুদ করা হাজার হাজার মণ লবণ। এতে করে আগামীতে লবণের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখানকার লবণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনে মাঠপর্যায়ে লবণের দাম কমে যাবে আর গ্রাহক পর্যায়ে বাড়বে। রোয়ানুর পানিতে ভেসে গেছে চট্টগ্রামে মিলে মজুদ করা হাজার হাজার মণ লবণ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মে মাসের ১৫ তারিখ-এই সাড়ে ৬ মাস লবণ উৎপাদনের মৌসুম। কিন্তু চলতি বছর বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এই মৌসুমে লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে। চলতি বছর ৬০ হাজার একর মাঠে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টন। তবে উৎপাদন হয়েছে ১৩ লাখ টন। উৎপাদনে ঘাটতি আছে ১ লাখ ২৮ হাজার টন লবণ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রামের মজুদ করা হাজার হাজার মণ কাঁচা লবণ ভেসে গেছে। এতে লবণের মজুদ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি মণ লবণ বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকার ওপরে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে লবণ কেনা বেচা, মজুদ বন্ধ আছে। তাই এই সপ্তাহে প্রতি মণ লবণের দাম বাড়তে পারে। তারা জানান, জোয়ারের পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদী পাড়ের মিলগুলো। কয়েকটি মিলের মালিক পুরনো লবণের বস্তা ফেলে কিছু রক্ষা করতে পারলেও নদীর পাড়ের মিলগুলোর অধিকাংশ লবণ ভেসে গেছে। এছাড়া জোয়ারের পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু মিলের কাঁচা লবণ সংরক্ষণ করার হাউজ। তারা আরও বলেন, রোয়ানুর ৪-৫ ফিট জোয়ারের প্রভাবে ভেসে গেছে মাঝির ঘাটের ২৮ হাজার মণ লবণ। এর মধ্যে ডায়মন্ড সল্ট মিলেরই ১০ হাজার মণ কাঁচা লবণ। এছাড়া খাজা সল্ট, তানভীর সল্ট, এ কে সল্ট মিলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লবণ পরিশোধনের জন্য ব্যবহৃত হাউজগুলোতে মিঠা পানি প্রবেশের ফলে নতুন করে তৈরি করতে হবে। এতে একদিকে যেমন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হবে, অন্যদিকে নতুন করে হাউজগুলো তৈরি করতে প্রয়োজন হবে প্রায় ২ হাজার মণ লবণ। যার ফলে নতুন লবণ সংগ্রহ করতে গেলে আমাদের আসলে কৃষক থেকে কম মূল্যে লবণ সংগ্রহ করতে হবে। মাঝির ঘাটের জননী সল্টের পরিচালক জানান, জোয়ারের পানিতে শোধনের জন্য রাখা প্রায় ১ হাজার মণ কাঁচা লবণ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া অপরিশোধিত লবণও নষ্ট হয়েছে। লবণের দাম বাড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খুচরা বাজার থেকে কেনার সময় হয়তো আগের দামে কিনতে পারবো না। কারণ, আগের দামে কিনলে আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।