Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সাফল্যময় তিন বছর

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এখন বদলে যাওয়া এক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। মাত্র সাড়ে তিন বছরের এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ গোটা দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় ও এক আস্থার নাম। জ্ঞান ও গবেষণায় এর সুনাম দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বেও ছড়িয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের খ্যাতিমান শিক্ষক, অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান ২০১৫ সালের ২ জুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান। কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে অবিরাম কাজ করেন তিনি। নোবিপ্রবি’র একাডেমিক ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নসমূহ তারই হাত ধরে এগিয়ে চলে।
নোবিপ্রবির বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহ :
একাডেমিক গতি ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে এখানে নতুন ৪টি অনুষদ ও ১৪টি বিভাগ খোলা হয়। ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্সেস এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি নামে ২টি নতুন ইনস্টিটিউট খোলা হয়েছে। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নোবিপ্রবিতেই প্রথম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মোবাইল অ্যাপস অ্যান্ড গেইম ডেভেলপমেন্ট ল্যাব এবং একটি নেটওয়ার্কিং ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
৫শ’ ৫০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল নির্মাণ ও ৬শ’ ৫০ জন নারী শিক্ষার্থীর আবাসনের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব হল নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিল হল নির্মাণ এবং ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হল ও হযরত বিবি খাদিজা হলে সংস্কার আনা হয়েছে। ভাষা শহীদ আবদুস সালাম ও হযরত বিবি খাদিজা হলের অভ্যন্তরে ক্যান্টিন নির্মাণ করা হয়েছে।
একাডেমিক ভবন-১ এবং দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের ৫ম-১০ম তলা নির্মাণ এবং পুরো ভবন দুটিকে আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে। ৪ তলা বিশিষ্ট আধুনিক লাইব্রেরি ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে অতিথিদের জন্য ৩ তলা বিশিষ্ট ভিআইপি গেস্ট হাউজ নির্মিত হয়েছে। এছাড়া ৫ তলা অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস ভবন, প্রশাসনিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ (৪র্থ ও পঞ্চম তলা নির্মাণ), গোলচত্ত¡রের চারপাশ আরসিসি ঢালাইকৃত সড়ক এবং বিশ^বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের মধ্যে আরো রয়েছে- বৈদ্যুতিক লাইনসহস ১ হাজার কেবিএ বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও রিভার্স অসমোসিস প্লান্ট স্থাপন। এছাড়া ৩শ’ লাইন বিশিষ্ট বিটিসিএল এর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ও ৫শ’ লাইন ক্ষমতা বিশিষ্ট পিএবিএক্স এক্সচেঞ্জ স্থাপন। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নতুন ৭টি বাস, শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৩টি সিভিলিয়ান বাস, ও ৪টি মাইক্রোবাস এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রয় করা হয়েছে এ্যাম্বুলেন্স। এছাড়াও পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধনে চারপাশে বৃক্ষরোপণ, দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং বর্ণিল আলোকসজ্জ¦ায় সজ্জিতকরণ।
বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ :
১০ তলা বাংলাদেশের সর্ববহৎ তৃতীয় একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। দশ তলা বিশিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা টাওয়ার, হাউজ টিউটর, স্টাফ কোয়ার্টার ও প্রভোস্ট টাওয়ার নির্মাণাধীন। তিন তলা মেডিকেল সেন্টার ও তিন তলা ভিত্তিতে একতলা কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণাধীন। এছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য দুই কোটি টাকা ব্যয়ে উপাসানালয় নিমার্ণের কাজ চলছে। বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট ভবনের নির্মাণ কাজ সম্প্রতি উদ্বোধনও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বৃত্তি’ ও বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মাঝে ত্রিশ লক্ষ টাকার ‘বঙ্গবন্ধু সহায়তা ফান্ড’ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বছরব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনেরও ঘোষণা হয়েছে।
ভবিষ্যত প্রকল্পসমূহ :
‘ডেলটা প্ল্যান’এ দেশের সম্পদ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অদূরে অবস্থিত উপক‚লের ৭৭৮ একর জমির ওপর ‘দেশরতœ শেখ হাসিনা সমুদ্র বিজ্ঞান ও সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট’কে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভিসি অধ্যাপক অহিদুজ্জামান কাজ করে চলেছেন। যেখানে ডেলটা ফরমেশন, সমুদ্র বিজ্ঞান, ইকো ট্যুরিজম, ম্যানগ্রোভ বনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন গবেষণা সম্ভব হবে। এছাড়া আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, স্পেস রিসার্চ, মেটারিয়াল সায়েন্স, রোবটিক্স, ন্যানো টেকনোলজি বিষয়ে বিশ্বমানের গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি হবে। এছাড়াও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নিকট ভবিষ্যতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হবে বিজনেস ইনকিউবেটর সমৃদ্ধ পূর্ণাঙ্গ হাইটেক পার্ক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ