বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কচুরিপানায় অচল হয়ে পড়েছে দেশের অষ্টম বৃহত্তম নদী বন্দর নরসিংদী। দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার কচুরিপানার জটের কারণে শত শত নৌযান নদী বন্দরে ঢুকতে পারছে না। প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গেছে ঢাকা ও ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন নদী বন্দরের সাথে। নরসিংদী জেলা শহরের বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরিতে কর্মরত চরাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক নরসিংদীর কর্মস্থলে আসতে যেতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শত শত ছাত্রছাত্রী। নৌপথে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে।
জানা গেছে, নরসিংদী জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৪৫ কিলোমিটার মেঘনা নদীর দুই পাড় জুড়ে রয়েছে হাজার হাজার মাছের খাইর। এসব মাছের খাইরের মালিক কোন জেলে পরিবার বা সাধারণ মানুষ নয়। প্রতিবছর ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে প্রভাবশালী লোকেরা নদীর দু’পাড়ে এসব মাছের খাইর তৈরি করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে নদীতে ফেলে চারদিকে বাঁস কোপে দড়ি দিয়ে ঘেরাও করে এর ভিতর কচুরিপানা আটকে রাখে। এসব খাইর থেকে মাছ ধরে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে এসব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
পক্ষান্তরে গাছ কাটার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার পরিবেশ। গাছের ডালপালা নদীতে ফেলার কারণে ডালপালা পচে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। ডালপালার কারণে নদীর ¯্রােত বাধাগ্রস্ত হয়ে দুই পাড়ে অসংখ্য ডুবোচর ও চরের সৃষ্টি হচ্ছে। চর পড়ে দিন দিন নদীর প্রশস্ততা কমে যাচ্ছে। মেঘনা নদীর মাছ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের খাইরের মধ্যে বন্দি হয়ে পড়ায় সাধারণ জেলেরা মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরতে পারছে না।
উপরন্তু, প্রতিবছর মার্চ এপ্রিল মাস এলে শুরু হয় দক্ষিণা বাতাস। এই বাতাসে হাজার হাজার খাইরের কচুরিপানা ভাসিয়ে নিয়ে আসে নরসিংদী শহর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে। মেঘনা নদীর শহর সংলগ্ন উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীর দুই দিকে সৃষ্টি হয় কচুরিপানার তীব্র জট। আর এতে প্রতিবছরই দেশের অষ্টম বৃহত্তম নদী বন্দর নরসিংদী প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
এব্যাপারে নরসিংদীর সচেতন জনগণ বিষয়টি দেখার জন্য জেলা প্রশাসকের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।