Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভালুকের আক্রমণে সঙ্কটাপন্ন কিশোরের পাশে সেনাবাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

জুম চাষ শেষে বাড়ি ফিরছিল কিশোর পণবিকাশ ত্রিপুরা। হঠাৎ ক্ষেপা বুনো ভালুকের আক্রমণ। ক্ষতবিক্ষত কিশোরের পুরো শরীর। ভালুকের থাবায় কয়েকটি দাঁতও পড়ে যায় তার। ঘটনাটি রাঙ্গামাটি জেলার সাজেকের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়। সঙ্কটাপন্ন এ কিশোরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী। তাকে হেলিকপ্টারে এনে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। ওই কিশোরের চিকিৎসায় গঠিত হয়েছে মেডিকেল বোর্ডও। গতকাল রোববার বেলা সোয়া ২টায় আহত কিশোরকে নিয়ে রাঙ্গামাটি থেকে আসা হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রাম সেনানিবাসে অবতরণ করে।
এ সময় সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা ওই কিশোরকে হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে সিএমএইচের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন। আহত পণবিকাশ ত্রিপুরা (১৬) রাঙ্গামাটির সাজেক ইউনিয়নের নিওথাংনাং পাড়ার অলীন্দ বিকাশ ত্রিপুরার ছেলে। পণবিকাশের সঙ্গে হেলিকপ্টারে আসা তার চাচাতো ভাই হরেন বিকাশ ত্রিপুরা সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার বাড়ি থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার হাঁটা পথের সমান দূরত্বে জঙ্গলে বাবার সঙ্গে জুমচাষ করতে গিয়েছিল পণবিকাশ। বিকেলে কাজ শেষে ফেরার পথে পণবিকাশের ওপর একটি হিংস্র ভালুক ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভালুকের থাবায় পণবিকাশের বেশ কয়েকটি দাঁত পড়ে গেছে।
এছাড়া ভালুকের আঁচড়ে পণবিকাশে মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মক জখম হয়েছে। স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় পণবিকাশের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোর্শেদ রশিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখে ওই কিশোরের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ মনে হয়েছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আরও নিশ্চিত করে বলা যাবে যে রোগীর প্রকৃত অবস্থা কী। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল একই গ্রাম থেকে জতনি তচঙ্গ্যা নামে আরও এক প্রসূতিকে হেলিকপ্টারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এনে প্রাণ বাঁচায় সেনাবাহিনী। দুর্গম এলাকায় টানা তিনদিন প্রসব বেদনায় ছটফট করা ওই নারীকে সেখান থেকে তুলে আনে সেনাবাহিনী। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলার বগাখালী গ্রাম থেকে সোনাপতি চাকমা নামে এক প্রসূতিকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ