Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিহত বাংলাদেশিদের সংখ্যা নিশ্চিত নয়

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে নিহতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১৪ জনের সবাই বাংলাদেশি। যাদের এখনও পাওয়া যায়নি। এছাড়া নিহতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য নেই। মোট ৭৫ জনের মধ্যে ৩৭ জনকে পাওয়া যাচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৩৫ জন মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ঘটনা জানার পর লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। যারা উদ্ধার হয়েছেন তাদের দেশে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে শনিবার লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বার্তা অনুযায়ী ওই নৌকায় ৫১ জন বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানান আবদুল মোমেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী নিয়ে একটি বড় নৌকা ইটালির উদ্দেশে রওনা হয়। গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকা থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি নৌকায় তোলা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়। নৌকাডুবিতে নিহত ৬০ জনের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি।
তিউনিসিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় হতাহত বাংলাদেশিদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে এবং জীবিতদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিউনিসিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে। এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানা গেছে।
নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সূত্রে তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে লিবিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের জুয়ারা শহর থেকে প্রায় ৭৫ আরোহী নিয়ে একটি বড় নৌকা রওনা হয়। উপকূলে ওই নৌকা থেকে আরোহীদের আরেকটি ছোট নৌকায় তোলার অল্প সময়ের মধ্যেই তা ডুবে যায়। তিউনিস প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মর্মান্তিক ওই নৌকাডুবির পর অভিবাসীদের উদ্ধারে একটি মাছ ধরার নৌযান নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তিউনিস নৌবাহিনী। তারা জীবিতদের পাশাপাশি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সমর্থ হয়।
রেডক্রিসেন্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই নৌকার আরোহীদের মধ্যে ৫১জন বাংলাদেশি ছিল। এদের মধ্যে ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, জীবিত উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে কতজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখন পর্যন্ত তাদের কাছে নেই। সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি ওই নৌকায় ৫১ জন বাংলাদেশি ছিল। সরেজমিনে ব্যবস্থা নিতে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমরা তিউনিসায় প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে।
জানা যায়, তিউনিসিয়াতে শরণার্থীদের আশ্রয় সংক্রান্ত কোনও আইন নেই। বেঁচে যাওয়া এসব শরণার্থীরা এখন বাড়ি ফিরবেন নাকি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করবেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে ৬০ দিন পাবেন তারা। যে ১৪ জন বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাদের দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিবিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ