রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
লক্ষীপুরের কমলনগরে মেঘনার তীর ঘেঁষে বাগদা চিংড়ি শিকার করছেন অবৈধ চিংড়ি শিকারীরা। এর নেপথ্যে রয়েছে খোদ স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার আবদুল কুদ্দুসের যোগসাজশ। সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই কমলনগরের মেঘনায় একশ্রেণির অসাদু জেলেরা মশারি (ঠেলা) জাল দিয়ে দিনের পর দিন মাছ শিকার করছেন। এতে অভিযানের নামে সরকারের এ উদ্যোগটি ভেস্তে চলেছে। উপজেলার মতিরহাট থেকে কাচিয়ার খাল মাছঘাট পর্যন্ত মেঘনার তীর ঘেঁসে শিশু, কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধারাও নিষিদ্ধ মশারী (ঠেলা) জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। এতে বাগদা ও গলদা চিংড়ির আড়ালে নিধন করা হচ্ছে নদীর নানা প্রজাতির মাছ। মারাত্মক হুমকিতে নদীর গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্য।
মেঘনাপাড়ের চিংড়ি আহরণকারী লোকজন জানান, আমরা নদীরপারে জমি মালিক থেকে ১-৫ চেইন পর্যন্ত জমি কিনে নেই। এতে ৫-৭টি (চিংড়ি সংরক্ষণ ও ক্রয়করা স্থান)‘টং’ ঘর রয়েছে। চিংড়ি মাছের নিরাপদ জায়গা হিসেবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সপ্তাহে ২ হাজার টাকা চাঁদা দেই। এভাবে মেঘনার পাড়ে ৫০টি গ্রুপ ( প্রত্যেক গ্রুপে ৪-৭ টি টং ঘর রয়েছে)। ৫০টি গ্রুপ থেকে সপ্তাহে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। সর্বশান্ত হচ্ছেন একশ্রেণির চিংড়ি আহরণকারী সাধারণ মানুষ। মেঘনাপাড়ের ‘টং’ ঘরের মালিক ফারুক, কামাল, সারু, হেলাল পাটোয়ারী, নাছির পাটোয়ারী, আবু ছাইদ, মাহফুজ, বাচ্ছু, বিল্লাল, ইসমাইল বেপারী, ইব্রাহিম, আবদুল হাই, সোহাগ, আমির বেপারী, জামাল, আবু মাঝি, দুলাল ও তাহের জানান, গেলো বছরের দাদন দেয়া টাকা পুশিয়ে আনতে চিংড়ি ক্রয় করছে। তীব্র তাপদাহে আমাদের ক্রয় করা মাছ গন্তব্য স্থলে পৌঁছার আগেই মারা যাচ্ছে। চিংড়ি মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে মাছ জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে আমরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হই। এছাড়াও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সামান্য উৎকোচ দিয়ে মাছ ক্রয় ও পরিবহন করে থাকি।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মশারি জাল দিয়ে চিংড়ি মাছ আহরণের সময় নানা প্রজাতির ছোট মাছ নিধন করা হচ্ছে। এতে জীববৈচিত্র্য চরম হুকমিতে পড়েছে। এদিকে ‘টং’ প্রতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সাপ্তাহিক টাকা দিতে দেরী হলে উক্ত কর্মকর্তা মানুষের উপস্থিতিতে কটূক্তি ভাষায় গালমন্দ করে এবং চোখরাঙিয়ে ‘টং’ ঘরের মাছ রাখার সরঞ্জামাদি ভেঙে তছনছ করে। পরে এগুলোকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে প্রচার করেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস (অ.দা.) জানান, চিংড়ি ও গলদা মাছ ধরা বন্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসছি। আমরা একদিকে অভিযান পরিচালনা করলে অন্যদিকে নদীতে জেলেরা মাছ শিকারে নেমে পড়ে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ হোসেন জানান, নদী থেকে কোন ধরণের চিংড়ি ও গলদা শিকার করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করে অসংখ্য জাল পুড়ে ধংস করে অনেক লোককেই আইনের আওতায় এনেছি। চিংড়ি ধরা বন্ধে স্থানীয়সহ সকলের উদ্যেগ গ্রহণ করা দরকার বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।