রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলাসহ পাশবর্তী দু’উপজেলায় বিশেষ করে বিরামপুরের কলেজবাজার, শিমুলতলী, পাশবর্তী উপজেলার মাদিলাহাট মাহালিপাড়া, মরিয়ামপুর মিশন, হরিপুর আদিবাসীপাড়া, চেরাগপুর মাহালীপাড়া প্রায় ৩ শতাধিক মাহালি পরিবার এখন ব্যাস্ত সময় পার করছে সেমাই রাখার খাঁচি তৈরিতে। বাঁশের চড়া দাম হওয়ার পরেও বাঁশের তৈরি সেমাইয়ের খাঁচি তেরির জমজমাট ব্যবসা এখন তুঙ্গে।
জানা য়ায়, পবিত্র ঈদুল ফেতরে সেমাই একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এ কারনে বিভিন্ন থানার সেমাই ব্যবসায়ীরা সেমাই রাখার খাঁচি তৈরি করার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি অংশ হিসাবে আগাম মাহালি পরিবারের খাঁচির জন্য বোকিং করে রেখেছে। মাহালি পরিবারের প্রধানেরা খাঁচির তৈরি জন্য একমাত্র উপাদান বাঁশ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন।
সারা বছর মাহালিদের সে রকম কাজ না থাকায় ঈদ আসলে তাদের ব্যস্থাতা বেড়ে যায় দম ফেলানোর সময় তাদের হাতে নেই। এদিকে বাঁশের দাম বেড়ে যাওয়ায় একটি খাঁচি তৈরি করার জন্য প্রায় একশ টাকা খরচ পড়লেও তারা খাঁচি প্রতি ৮০ টাকা বিক্রি করছেন সেমাই ব্যবসায়ীদের কাছে। অনেকের অভিযোগ দাম কম পেলেও তারা খুশি যে তাদের কাজ চলছে কাজের মজুরি পাচ্ছেন। লাভ না হলেও যা আয় হচ্ছে তাই দিয়ে তাদের পরিবার কিছুদিন চলতে পারবেন বলে জানান। এদিকে বিরামপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন মাহালি পাড়ার বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পন্যের দক্ষ কারিগর হিসাবে এলাকায় পরিচিত দিলিপ টুডু, সরলা মারডি, দিলীপ মারডি, সংখরী হাসদা, জোসেফ মারডি, ফিলিপ মারডি, জানান, তাদের বাপ দাদার ঐতিহ্যগত পেশাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ কাজ করে যাচ্ছেন। লাভ হোক আর না হোক, তারা পরিবারের ছেলে মেয়েদের সবাইকে নিয়ে বাঁশের তৈরি খাঁচি নিয়ে তারা ব্যাস্ত সমায় পার করছেন। রমজানের আগে যদি তাদের টাকা থাকত তাহলে বাঁশ কিনে রাখলে তাদের লাভ হত বলে তারা জানান। অর্থ সংকটের কারনে তারা বাঁশ কিনে জমা রাখতে পারেনি। তারা আরো জানান, রমজান ছাড়া প্রায় সারা বছরে কমবেশি সময় পার করেন বাঁশের তৈরি বিশেষ করে টোপা, ডালি, চাঙারি, কুলা, খইচালা, গুমাইসহ নিত্য নৈমত্তিক তৈজসপত্র তৈরী করে।
এ ব্যাপারে তারা দাবি করেন, এ শিল্প রক্ষায় যথাযথ কর্যকর ব্যবস্থা না নিলে এক সময় গ্রাম বাংলার গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার করা ঐতিহ্যময় শিল্প কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।