Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রমজানে কলারোয়া ভেজালে সয়লাব

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রমজান মাসের শুরুতে এক শ্রেণীর অসাধু মুনাফাখোর ব্যবসায়ী কলারোয়ার হাট বাজারে ব্যাপকভাবে ভেজাল খাদ্য দ্রব্যের কারবার শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট ক্রেতা সাধারণ সুত্রে জানা যায়, রোজাদার জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে ব্যাপক ভেজালের কারবার শুরু হয়েছে। রোজায়গুড়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশী হওয়ার সুযোগে বাজারে আসল গুড় খুঁজে পাওয়া দুরহ হয়ে পড়েছে। গো-খাদ্য চিটা গুড়ের সংগে চিনি ও হাইড্রোজ দিয়ে জ্বালায়ে ছোট ছোট আকারে পাটালি ও গুড় তৈরি হচ্ছে। দেখতে খুবই ভাল হলেও চিটা গুড়ের পোড়া স্বাদ রয়ে যায়। আখের গুড়ের সংগে নিম্নানের আটা স্যাকারিণ জ্বালায়ে টিনজাত বা কলসজাত আখের গুড় বাজারজাত হচ্ছে। এই গুড় বাতাসে গলে যাওয়ার বদলে শুকিয়ে শক্ত হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের লোকজনের বাড়ির গোখাদ্য খেজুর গুড় সংগ্রহ করে চিনিসহ নানা প্রাকার ক্যামিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে আসল খেজুর গুড়। দেশ আধুনিকায়নের ফলে প্রত্যান্ত অঞ্চলে বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী প্যাকিং করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ব্রান্ডের সুজি, আটা, লাচ্ছার মোড়ক সংগ্রহ করে তার ভেতরে নিম্নমানের সুজি, আটা ও লাচ্ছা প্যাকিং করে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বাড়ি যেয়ে প্যাকিং খুলে ময়লাযুক্ত নিম্নমানের সুজি, আটা, লাচ্ছা পাচ্ছে। নিম্নমানের খেজুরগুলো তেল মাখায়ে প্যাকিং করে রোজাদার জনসাধারণের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ইফতারীর প্রাক্কালে প্যাকিং খুলে নিম্নমানের খেজুর বের হয়ে পড়ছে। খোলা খেজুরগুলো দেখতে চকচকে ঝকঝকে। কিন্তু মুখে দিলে বোঝা যায় তেলা মাখা ও পুরানো। ভাল ছোলার সাথে পোকাযুক্ত পুরানো ছোলা ভেজাল দিয়ে ক্রেতা সাধারণকে ঠকানো হচ্ছে। রোজার দিনে ক্রেতা কম থাকায় গ্রচন্ড গরমে অসুস্থ্য হয়ে পড়া প্লোট্রি, বয়লার জবাই করে ট্রেএর ওপর ভিজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। ক্রেতারা আসলে এই মাত্র জবাই করা বলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে রুগ্ন বা মৃত মুরগীর মাংস। আগের দিনের অবিক্রিত গরু ছাগলের মাংস ফ্রিজ থেকে বের করে গরম পানিতে চুবিয়ে সদ্য জবাই করা গরু ছাগলের মাংসের সংগে ভেজাল করে বিক্রি হচ্ছে। হাটবাজারের মোড়ে মাছ সংরক্ষণের জন্য তৈরি বরফের তৈরি ঠান্ডা পানির শরবত রোজাদার জনসাধরণকে খাওয়ানো হচ্ছে। স্বল্প চিনির সংগে স্যাকারিণ মিশিয়ে তৈরি রসে বন্দে, রসগোল্লা, জিলাপি, ছানার জিলাপি ছানার পোলাও তৈরি হচ্ছে। গুড়ো দুধ মেশানো দুধে খুন্তি পোড়া দিয়ে তৈরি আকর্ষনীয় দধি করে রোজাদার মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে। এভাবে তৈরি খাবার দাবারে কলারোয়াসহ গ্রামগঞ্জের হাট বাজার ছেয়ে গেছে। সচেতন জনসাধারণ এসব অসাধু প্রতারক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ