পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র মাহে রমজানে দুর্ভোগ কমাতে নানা উদ্যোগের পরও চট্টগ্রাম নগরীতে যানজটে নাকাল হচ্ছেন নগরবাসী। বিশেষ করে সকালে অফিস শুরু আর বিকেলে বাসায় ফেরার পথে তীব্র যানজট হচ্ছে। যানজটের কারণে ওই সময় গণপরিবহন সঙ্কটও তীব্র হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ঘরে ফেরা মানুষ।
সড়ক-ফুটপাতে বিশৃঙ্খলা, কয়েকটি সড়কে উন্নয়নের কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি আর ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা দুর্ভোগের কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ না হলে সামনের দিনগুলোতে যানজট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নগরীর ব্যস্ততম পোর্ট কানেকটিং রোডে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ চলছে গত তিন বছর ধরে। কথা ছিল রমজানের আগেই কাজ শেষ করা হবে। তবে কাজের যে গতি আগামী এক বছরেও শেষ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। একই অবস্থা আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের। সম্প্রসারণ কাজের জন্য সড়কে খোঁড়খুঁড়ি চলছে বছরে পর বছর ধরে। চট্টগ্রাম বন্দরমুখী পোর্ট কানেকটিং রোড আর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের বেহাল দশায় আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী ভারী যানবাহনের চাপ বেড়েছে অন্য সড়কে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য কাটগড় থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে। সড়কের দুই পাশে সরু লেইনে চলছে যানবাহন। মাঝখানে চলছে ফাইলিংয়ের কাজ। বিমানবন্দর সড়কের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে রুবি সিমেন্ট কারখানা পর্যন্ত অংশেও চলছে সংস্কার কাজ। নগরী ব্যস্ততম বহদ্দারহাট মোড় থেকে সিঅ্যান্ডবি, কাপ্তাই রাস্তার মাথা হয়ে কালুরঘাট পর্যন্ত সড়কে সাড়ে তিন বছর ধরে কাটাকাটি করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এখনও সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।
উন্নয়ন আর সম্প্রসারণ কাজে বেহাল নগরীর বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলী সেতু পর্যন্ত সড়কটি। ওই সড়ক ছয় লেন করার কাজ চলছে ধীরগতিতে। নগরীর আরও কয়েকটি সড়কে উন্নয়ন কাজ চলছে। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম ওয়াসা পাইপ লাইন স্থাপনের জন্য যখন যেখানে খুশি সেখানে রাস্তা কাটছে। সড়কে ব্যাপক কাটাকাটির কারণে নগরীর বড় বড় সড়কের পাশাপাশি অলিগলিতেও যানজট হচ্ছে।
সড়ক, ফুটপাত দখল হয়েছে অনেক এলাকায়। রাস্তা দখল করে রাখা হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী। নগরীতে কেন্দ্রীয় কোন বাস টার্মিনাল নেই। রাস্তায় যেখানে সেখানে চলছে পার্কিং। দূরপাল্লার বাস কাউন্টার সড়কের দুপাশে। সেখানে যাত্রী উঠা নামা করা হচ্ছে। ফলে সড়কে বিশৃঙ্খলা এখন চরমে।
সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ফুটপাতে শৃঙ্খলা আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার সুফল মিলেনি। কয়েকটি এলাকায় হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ এলাকায় ফুটপাত এবং সড়ক দখল করে আছে হরকাররা। নগরীর সবকটি প্রবেশ পথে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা। সেখানে সৃষ্ট যানজট ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায়। নগরীর সিটি গেইট, অক্সিজেন, কালুরঘাট এবং কর্ণফুলী সেতু এলাকায় সকাল-বিকাল তীব্র যানজট হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরেই জমে উঠবে ঈদের বাজার। তখন নগরীতে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো না গেলে তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ হাযারী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে যানজট সহনীয় রাখতে সিএমপির পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর সুফলও নগরবাসী পাচ্ছেন। বিশেষ করে বিকেলে ইফতারের আগে নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে ট্রাফিক পুলিশ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নগরীর কয়েকটি সড়কে উন্নয়ন কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়িতে যানজট বাড়ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, অন্তত মাহে রমজান মাসে এসব সড়ক যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে বলা হয়েছে। মার্কেট কেন্দ্রীক যানজট নিয়ন্ত্রণেও ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। কমিউনিটি পুলিশের পাশাপাশি মার্কেটের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও মোতায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।