পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। কিন্ত মূল্যস্ফীতির তালিকায় মাত্র একটি দেশের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সাল শেষে মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে। একই সময়ে মূল্যস্ফীতির তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তান।
সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য-সেবার মূল্য টাকার অঙ্কে বেড়ে গেলে অর্থনীতির ভাষায় তাকে মূল্যস্ফীতি বলা হয়। এর ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় নি¤œ ও মধ্যবিত্ত আয়ের জনগণকে। আয় না বাড়া সত্তে¡ও বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাস শেষে দেশের মূল্যস্ফীতি পাঁচ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ফেব্রæয়ারি মাসে এ হার ছিল পাঁচ দশমিক ৪৭ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৮ সাল শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি বছরে ৮ শতাংশের উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করেছে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রমতে, ২০১৮ সাল শেষে ভারতের মূল্যস্ফীতি ছিল মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ। তবে ৭ শতাংশের মধ্যে ছিল ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি। যা বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় দুই শতাংশ কম। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত বছরে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি (৭ দশমিক ৯ শতাংশ) ছিল বাংলাদেশের।
তালিকার শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। মাত্র তিন মাস আগেও দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ। এই তিন মাসে প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সেবার মূল্য টাকার অঙ্কে বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে গেছে মূল্যস্ফীতি। অন্যদিকে পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের তুলনায় অনেকটাই নিচে। আলোচ্য সময়ে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন ছিল ৫ দমমিক ২ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মূল্যস্ফীতি এক শতাংশের নিচে থাকা দেশের মধ্যে শ্রীলংকা একটি। ২০১৮ সাল শেষে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়াও আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের মূল্যস্ফীতি যাথাক্রমে শূন্য দশমিক ৮ ও শূন্য দশমিক ১ শাতাংশের মধ্যে ছিল। এডিবি’র তথ্য অনুযায়ী আলোচ্য সময়ে মোট দেশজ উৎপাদন ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ২ ও ৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
এই অঞ্চলের অন্য দুই দেশ ভুটান ও নেপালের মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ২ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেকটা কম। অন্যদিকে দেশদুটির মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫ ও ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।