Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভাইয়ের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের মজুমদার বাজার এলাকায় পূর্ব শত্রæতা ও পরকীয়া প্রেমের জের ধরে সোহেল হাওলাদার (৩২) নামে এক মুরগী ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। নিহত সোহেল হাওলাদার একই এলাকার আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মজুমদার বাজার ব্রীজের কাছে। ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সোহেল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের ছোট স্ত্রীরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সোহেলের পরকীয়া প্রেম চলে আসছিল। এই পরকীয়া প্রেমের কারনে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও হয়েছে। এছাড়াও গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রæতার জের চলে আসছিল। পূর্ব শত্রæতা ও পরকীয়া প্রেমের জের ধরেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার তার লোকজন নিয়ে মজুমদার বাজার ব্রীজের কাছে সোহেল হাওলাদারকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় সোহেলের আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। মূমুর্ষূ অবস্থায় সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বজনরা। সোহেলের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেয় ডাক্তাররা। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সোহেল। নিহত সোহেল আট বছর মালয়েশিয়া থাকার পর দু’বছর পূর্বে বাড়ি এসে মুরগির ব্যবসার জন্য দুটি পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলেন। তার নয় মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
নিহত সোহেল হাওলাদারের চাচাতো ভাই লুৎফর রহমান হাওলাদার বলেন, পূর্ব শত্রæতার জের ধরেই আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
বাজিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছেন।
রাজৈর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহজাহান মিয়া জানান, পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরেই এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ