Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ক্ষমতার সঙ্গে যুক্তরাই আইন ভাঙছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৯, ১:৪২ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের মহাসড়কগুলো আন্তর্জাতিক মানের নয়। এসব সড়কে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানোর সুযোগ-সুবিধা থাকলেও চালানো হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে। এর কারণে দুর্ঘটনায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ও ভয়াবহতা বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে পঞ্চম বিশ্ব নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ উপলক্ষে ‘নিরাপদ সড়ক ঃ আমাদের দায়িত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো আইন না মানার প্রবণতা। ক্ষমতার সঙ্গে যারা যুক্ত তারাই আইন ভাঙছেন। ফলে দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। এর থেকে উত্তোরণের জন্য নাগরিকদের মধ্যে আইন মানার সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি।
মোজাম্মেল হক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতেÑ প্রতিবছর সারা বিশ্বে ১.২ মিলিয়ন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। আহত হয় ২০ থেকে ৫০ মিলিয়ন মানুষ। সংস্থাটির হিসাব মতে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে হতাহতের সংখ্যা (প্রতি ১ লাখ মানুষে যথাক্রমে ২১.৫ ও ১৯.৫ জন) উচ্চ আয়ের দেশগুলোর (১০.৩ জন) তুলনায় অনেক বেশি। গত চার থেকে পাঁচ দশক ধরে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পরিমাণ হ্রাস পেলেও এসব দেশে এখনও সড়ক দুর্ঘটনাকে মৃত্যু, আঘাত ও পঙ্গুত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তের ৪৮ শতাংশ পথচারী, সাইক্লিস্ট ও মোটরসাইক্লিস্ট। যাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এদের মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি।
সভায় বাজেটে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে একটি অর্থনৈতিক কোড চালুসহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালক প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি, আক্রান্তদের উদ্ধার, চিকিৎসা সহায়তা ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা তথা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এসব খরচ মেটাতে বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলেন আলোচকরা।
সভায় সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে জাতিসংঘের অনুস্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে দ্রæত বাস্তবায়নের জন্য চালক প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি, ডিজিটলি পদ্ধতিতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, বিআরটিএর সক্ষমতা ও জনবল বৃদ্ধি, লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি আধুনিকায়ন, ট্রমা সেন্টার চালু, পরিবহনখাতে চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত করাসহ ১৫ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। যাত্রীকল্যাণ সমিতির আয়োজনে আলোচনা সভায় সংগঠনটির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, বিআরটিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমানসহ বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ