Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাসূলুল্লাহ সা. নৈতিকতার মহান শিক্ষক

এ. কে. এম ফজলুর রহমান মুনশী | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৯, ১:৩০ এএম

এই দুনিয়ায় নৈতিকতার বড় বড় শিক্ষক যুগে যুগে জন্মগ্রহণ করেছেন, যাদের সংস্পর্শে এসে বড় বড় জাতিসমূহ আদবকেতা বা শিষ্টাচারের পাঠ নিয়েছে, অনুপ্রাণিত হয়েছে এবং আদব ও আখলাকের ওই সবক শিক্ষা করেছে যা হাজার হাজার বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও আজ পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। সত্য কথা হলো এই যে, বর্তমান বিশ্বের যেখানেই যতটুকু উচ্চ চরিত্রের নমুনা পাওয়া যাবে তা তাদেরই শিক্ষা গ্রন্থের একটি পাতা বিশেষ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিরীক্ষাধর্মী দৃষ্টি দ্বারা এ প্রশ্ন অবশ্যই দেখা দিতে পারে যে, এই নৈতিকতা শিক্ষাদানকারী ওস্তাদগণের মাঝে পরস্পর সম্পর্ক কি? এবং তাদের নৈতিক শিক্ষাক্রমের তারতীব কি কি বিধানের ওপর প্রতিষ্ঠিত? এবং তাদের সারা বিশ্বের সর্বশেষ ও প্রধান শিক্ষক রাসূল সা.-এর কি কি বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদার অধিকারী? এ ব্যাপারে মুখ্য উদ্দেশ্যকে ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন আছে।
কারণ, লক্ষ করলে দেখা যায় যে, রাসূলে আকরাম সা.-এর পূর্ববর্তী নৈতিক শিক্ষকদের দু’টি শ্রেণী রয়েছে। তাদের একটি শ্রেণী নিজেদের শিক্ষার বুনিয়াদ পরজগতের ধর্মকর্মের ওপর প্রতিষ্ঠা করেছে। যেমন সাধারণভাবে নবী-রাসূলগণ ও কোনো কোনো ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাগণ এ পথ বেছে নিয়েছিলেন। আর দ্বিতীয় শ্রেণী যারা নিজেদের দর্শন, বিজ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার ওপর শিক্ষার ইমারত দাঁড় করিয়েছিলেন। আমরা এই শ্রেণীদ্বয়ের প্রথমটিকে আম্বিয়া এবং ধর্মীয় সংস্কারক হিসেবে এবং দ্বিতীয়টিকে হুকামা বা দার্শনিক হিসেবে অভিহিত করতে পারি। এই উভয় শ্রেণীই নিজ নিজ শিক্ষা ও শিক্ষাদান পদ্ধতির পৃথক পৃথক তরীকা গ্রহণ করেছিলেন।
পয়গাম্বরগণ এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাগণ নিজেদের শিক্ষার উৎস আল্লাহর নির্দেশকে নির্ধারিত করেছিলেন। এই নির্দেশেও ফরমানে ইলাহী ছাড়া তাদের শিক্ষা ও তালীমের দ্বিতীয় কোনো বুনিয়াদ নেই। তাদের শিক্ষর মাঝে না কার্যকারণ সম্পর্কের তত্ত¡ানুসন্ধান জীবনধর্মী বৈশিষ্ট্যাবলির বিশ্লেষণ, নৈতিকতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ ব্যবহারিক শক্তির সীমারেখা নির্দিষ্টকরণ সবকিছুই আছে। কিন্তু পর্যালোচনা ও অনুসন্ধিৎসার পূর্বে আমল বা ব্যবহারে দরজা ও মর্তবা শুধু রঙিন প্রলেপ বিশেষ। আর এতে মর্যাদা যদি থেকেও থাকে তা সামগ্রিকভাবে নমুনাবিহীন ও বিস্বাদ ছাড়া কিছুই নয়। তবে এই দু’টি লক্ষ্যমাত্রা অনুধাবন করতে হলে মনে রাখতে হবে যে, দুনিয়ার সর্বশেষ শিক্ষক রাসূলে পাক সা.-এর শিক্ষার মাঝে আল্লাহর নির্দেশাবলি এবং সূ² বিশ্লেষণ আছে। আরো আছে ঐশী নির্দেশ ও প্রাকৃতিক হুকুমের নির্যাস এবং কিতাব ও হিকমতের মধুর সংমিশ্রণ।



 

Show all comments
  • Mb. Nmn ১০ মে, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 0
    Hi
    Total Reply(0) Reply
  • Shaheen Tarafder ১০ মে, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    মহানবী হজরত মুহম্মাদ (সা.) ছিলেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য এক অনুপম আদর্শ। তিনি ছিলেন শিশুর আদর্শ, যুবকের আদর্শ, সৈনিকের আদর্শ, সেনাপতির আদর্শ, স্বামীর আদর্শ, পিতার আদর্শ, নানার আদর্শ, ব্যবসায়ীর আদর্শ, শিক্ষকের আদর্শ ও রাষ্ট্রনায়কের আদর্শ।
    Total Reply(0) Reply
  • চঞ্চর চৌধুরী ১০ মে, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    পৃথিবীতে কোন মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য “রাষ্ট্রশক্তি”-র প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। মহান আল্লাহ রাসূল (সা:) কে পৃথিবীর অন্য সকল মতাদর্শের উপর দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য প্রেরণ করেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • সানী ১০ মে, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    পৃথিবীর অন্যকোনো মহামানবের ভেতরে এমন অপুর্ব দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে না, যার সমাহার ও সংমিশ্রণ শুধু এই মহামানবের জীনাদর্শেই বিদ্যমান। তাঁর অনুসরণ-অনুকরণ করার মধ্যে মানব জীবনের ঐকান্তিক সফলতা নিহিত।
    Total Reply(0) Reply
  • গণি মিয়া ১০ মে, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    রাসুল (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেছেন সচ্চরিত্রের বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে সচ্চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের নিমিত্তই প্রেরণ করা হয়েছে।’ (জামেউল আহাদিস : ৬৭২৯)
    Total Reply(0) Reply
  • মাহমুদুল হাসান রাশদী ১০ মে, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    কোন আদর্শ কে বিজয়ী বা প্রতিষ্ঠিত করার অর্থ এই যে, তার প্রতি যাবতীয় কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালন করা এবং তার বিপরীত আদর্শকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা।
    Total Reply(0) Reply
  • হাসিবুল ইসলাম ১০ মে, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    রাসুল (সা.) ছিলেন সৃষ্টির সেরা মানুষ। নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকরাও অকপটে স্বীকার করেছেন যে মুহাম্মাদ (সা.) সর্ব কালের, সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ মহামানব।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Abdul kadir ১০ মে, ২০১৯, ১১:২০ এএম says : 0
    এই মহান বিশ্বের সর্বযোগের, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হলেন আমার প্রাণপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এ. কে. এম ফজলুর রহমান মুনশী
আরও পড়ুন