মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সম্মানী ভাতা সরাসরি নিজ নিজ ব্যাংক হিসেবে জমা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আগামী অর্থবছর থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল কার্ড প্রদান ও ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সম্মানী ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল বুধবার পরিবহন পুল ভবনের কাছে সচিবালয় লিংক রোডে সপ্তাহব্যাপী সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনের সময় বর্ণাঢ্য র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছর থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল কার্ড প্রদান ও ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সম্মানী ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। মন্ত্রী জানান, আগামী ৮ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সেবা সপ্তাহ-২০১৯ পালন করা হবে। সেবা সপ্তাহে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্হ সকল দপ্তর সংস্থার মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় সেবা প্রদান করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ব্যবস্থাসহ সমগ্র দেশটিকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সেবা সহজে ও ঝামেলামুক্তভাবে প্রদানের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থাগুলোর কার্যক্রমও পরিপূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। এজন্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্হ দপ্তর সংস্থার সকল শাখাকে প্রস্তুত রাখা হবে। সেবা প্রত্যাশীদের সহজে ও দ্রুততার সাথে সেবা প্রদান করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, অতি দ্রুত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, বিনামূল্যে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের চিকিৎসাসেবা প্রদান করছে সরকার। বিষয়টি সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জানানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান।মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার মহান ব্রত নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এলক্ষ্যে তিনি দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। র‌্যালি উত্তর সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এস. এম. আরিফুর রহমান উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান। বর্ণিত সেবা সপ্তাহে সেবা গ্রহণের জন্য তিনি সেবা প্রত্যাশীদের আহবান জানান।