Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে মধ্যপ্রাচ্যগামী হাজার হাজার যাত্রী ফ্লাইট সঙ্কটে

১০ হাজার ওমরা যাত্রী আটকা পড়ার আশঙ্কা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৯, ১২:২৮ এএম

চট্টগ্রামসহ সারাদেশ থেকে আশাতীত ওমরা হজযাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং একের পর এক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে মধ্যপ্রাচ্যগামী হাজার হাজার যাত্রী ফ্লাইট সঙ্কটে পড়েছে। অন্তত ১০ হাজার ওমরা যাত্রী টিকিটের অভাবে আটকা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটিতে আসা কয়েক হাজার মানুষ টিকিটের অভাবে ফিরতে পারছেন না। এদের অনেকেরই ভিসা বাতিল হওয়ার মত সংকট তৈরি হয়েছে।
এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু জাফর ও সচিব এইচএম মুজিবুল হক শুক্কুর গতকাল (বুধবার) এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। ২০ হাজার টাকার বিমানের টিকিট কিনতে হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে। টাকা দিয়েও টিকিট না পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জরুরী ভিত্তিতে বাংলদেশ বিমান ও সউদিয়ার ফ্লাইট বৃদ্ধি করে ওপেন স্কাই ঘোষণা করে থার্ড ক্যরিয়ারকে সøট দিয়ে যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা না করলে সঙ্কট আরও তীব্র হতে পারে।
আটাব নেতৃবৃন্দ বলেন, রমজানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ সউদী আরব যাতায়াত করেন। ওমরা হজ্ব করার জন্য প্রায় ১ লাখ মানুষ সউদী আরব যান। এর মধ্যে রমজানে যান অন্তত ২০ হাজার। যা এ বছর প্রায় দ্বিগুণ। এতেক্বাফের নিয়তে চট্টগ্রাম থেকে অনেক মানুষ ওমরা করতে যান। এর বাইরে বিপুল সংখ্যক পর্যটক দুবাই-আবুধাবিসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাতায়াত করেন। ওমরা ও পর্যটক ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ বাংলাদেশি নানা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। রোজায় ওমরার যাত্রীসহ অন্যান্য যাত্রী মিলে বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে যাতায়াত করেন। বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ফ্লাইটের ওপর যাত্রীদের আসা-যাওয়া নির্ভর করে। তৃতীয় দেশ হিসেবে ভারতের জেট এয়ারওয়েজ ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রচুর যাত্রী পরিবহন করত। দৈনিক তিনটি ফ্লাইট ছিল জেট এয়ারের। অভ্যন্তরীণ সঙ্কটে পড়ে জেট এয়ার বন্ধ হয়ে গেছে। একই সাথে ঢাকা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে আবুধাবির রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা ইত্তেহাদ এয়ার ফ্লাইটও। চট্টগ্রাম থেকে বন্ধ হয়ে গেছে ওমান এয়ারের ফ্লাইট। তবে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর চালু করেছে ফ্লাই দুবাই। ইত্তেহাদ, জেট এয়ার, ওমান এয়ার দৈনিক দেড় হাজারের মত যাত্রী পরিবহন করত। কিন্তু ফ্লাইট গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেড় হাজার আসন সঙ্কট তৈরি হয়। এছাড়া ওমরার বাড়তি চাপ পরিস্থিতি আরো নাজুক করেছে। ২০ মের মধ্যে অন্তত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ১০টি অতিরিক্ত ফ্লাইট প্রদান করে এবং ওপেন স্কাই ঘোষণা করে সঙ্কট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান আটাব নেতৃবৃন্দ।
মধ্যপ্রাচ্যগামী আসন সঙ্কট পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলেছে জানিয়ে আটাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ১০ হাজারের মত ওমরা যাত্রী সব আনুষ্ঠনিকতা শেষ করেও শুধুমাত্র টিকিটের অভাবে যেতে পারবেন না। অনেক প্রবাসী শ্রমিক টিকিটের অভাবে ফিরতে পারছেন না। অনেকের ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ মুহূর্তে ফ্লাইট সঙ্কট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আটাব নেতৃবৃন্দ সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ