Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজ টেইলর হারুন অস্ত্রসহ গ্রেফতার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নগরীতে পাহাড়ে আস্তানা গেড়ে চাঁদাবাজি করা একটি সন্ত্রাসী গ্রæপের প্রধানকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার মো. হারুন ওরফে টেইলর হারুন (৩৫) নগরীর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের মুজিবনগর এলাকার বড়টেক পাহাড়ের মৃত ফছি আলমের পুত্র। সোমবার রাতে নগরীর আকবর শাহ থানার বড়টেক পাহাড়ে তার আস্তানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি মির্জা মাহমুদ সায়েম দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, বিভিন্নজনের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাবার পর টেইলর হারুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক, একটি এলজি, একটি পাইপগান, একটি কিরিচ, দুইটি লোহার পাইপ ও তিন রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে যাওয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, ২০১৬ সালের নভেম্বরে অস্ত্র মামলায় হারুনকে ডিবি’র টিম গ্রেফতার করেছিল। দেড় বছর জেল খেটে ২০১৮ সালের মে মাসে সে জামিনে বেরিয়ে আসে। এরপর সাহাবউদ্দিন, মিলন এবং সুমনসহ আরও কয়েকজন মিলে একটি বাহিনী গড়ে তোলে। হারুনের দুই প্রধান সহযোগী সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৪টি এবং মিলনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা আছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
বড়টেক পাহাড়ের আশপাশের এলাকায় সরকারি খাস জায়গা আছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড়ও আছে। গত কয়েক বছরে সেখানে আবাসিক এলাকা হচ্ছে। প্লট বিক্রি হচ্ছে। মূলত এই জমি কেনাবেচার নিয়ন্ত্রণ নিতেই একটি সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলে হারুন। তার বাবা ছিলেন ওই এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ের মালিকের কেয়ারটেকার। হারুনের জন্মও সেখানে। পেশায় একজন দর্জি হলেও এর আড়ালে সে একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। পুলিশ জানায়, মুজিবনগর, শাপলা আবাসিক এলাকা, বড়টেক পাহাড় এলাকায় জমি বেচাকেনার ক্ষেত্রে হারুনের বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়। জমি কেনার পর দখলে যেতে হলেও হারুনকে চাঁদা দিতে হয়। কমিশনের বিনিময়ে হারুন অবৈধভাবে জমি দখল করে দেয়। এছাড়া প্লট বা জমি কিনে বাড়ি বানানোর সময় ইট, বালি হারুনের কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিনতে হয়। অন্যথায় হারুন বাড়ি তুলতে বাধা দেয়। সে টেলিফোন করলে অনেকে তার আস্তানায় চাঁদার টাকা পৌঁছে দেয়। হারুনের এত ক্ষমতার উৎস এবং গডফাদারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান ডিবির কর্মকর্তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ