Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অটোমেশনে যাচ্ছে বিপিসি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দেশের একমাত্র জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানিকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) তার অধীনস্থ বিপণন ও বিতরণ কোম্পানি পদ্মা অয়েল কো. লি., মেঘনা পেট্রোলিয়াম লি., যমুনা অয়েল কো. লি. ও স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কো. লি.-এর মাধ্যমে সারা দেশে ডিলার পর্যায়ে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে থাকে। জ্বালানি তেল আমদানির যাবতীয় খরচ বিপিসি’র নিজস্ব অর্থায়নে করা হলেও ডিলার পর্যায়ে তেল বিক্রির টাকা চলে যায় বিপণন ও বিতরণ কোম্পানির কাছে। এই টাকা হিসাব-নিকাশ করে বিপিসি’র কাছে ফেরত দিতে কোম্পানিগুলোর লাগে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময়। এমনকি কোন ইনভয়েসের বিপরীতে কত টাকা বাকি আছে, সেই হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে খোদ বিপিসি। হিসাব মেলাতে অডিটর নিয়োগ দিয়েও ক‚ল-কিনারা করতে পারছে না বিপিসি- এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ বিপিসি’র চেয়ারম্যান মো. শামছুর রহমান। জানা যায়, ডিলার পর্যায়ে ১ লিটার ডিজেল বিক্রি হয় ৬২ দশমিক ৫২ টাকায়, যার মধ্যে আমদানি খরচ বাবদ বিপিসি’র পাওনা ৫৯ দশমিক ৮১ টাকা আর বিতরণ খরচ বাবদ বিপণন কোম্পানির পাওনা মাত্র ২ দশমিক ৭১ টাকা। তেল বিক্রির পুরো টাকাই বিপণন কোম্পানির কাছে মাসের পর মাস পড়ে থাকে। অথচ সরকারি রাজস্ব খাত থেকে আমদানির ব্যয় নির্বাহকারী প্রতিষ্ঠান বিপিসি’র ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
এ ছাড়াও ডিপোগুলোতে তেলের মজুদ ও সরবরাহের হিসাব পেতে বিপিসি’কে দ্বারস্থ হতে হয় বিপণন কোম্পানির কাছে, যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল কিংবা অসম্পূর্ণ হওয়ায় জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠান অনেক ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। এই প্রেক্ষাপটে সমস্যাগুলো উত্তরণের বাস্তব সমাধান হিসেবে ডিজিটালাইজ করা হবে বিপিসি তথা সকল বিপণন কোম্পানির জ্বালানি তেল ও গ্যাস বিক্রির অর্থ আদায় কার্যক্রম।
সূত্র মতে, অটোমেশন প্রক্রিয়ায় আগের মতোই ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার সুযোগ থাকলেও সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিশেষ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আদায়ের সাথে সাথেই বিপিসি ও আদায়কারী কোম্পানির পাওনা বিভিন্ন খাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাজিত হবে ও সুনির্দিষ্ট সময়েই অটোমেশন প্রক্রিয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিপিসি ও আদায়কারী কোম্পানির ব্যাংকের হিসাবে চলে যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের সকল শাখায় এই আদায় কার্যক্রম চালানো হবে। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে এর আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিপিসির চেয়ারম্যান। মো. শামছুর রহমান বলেন, বিপিসি’র জ্বালানি তেলের বিক্রয়লব্ধ অর্থ আদায়ে এই অটোমেশন কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও এই অটোমেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, বিপিসি ও বিতরণ কোম্পানিগুলো বিভিন্ন একীভূত রিপোর্ট তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়ায় দেশে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ও মজুদের একটি সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ