Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রচন্ড গরমে বাড়ছে রোগী ডাক্তার সঙ্কটে সেবা ব্যাহত

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) থেকে ইসমাইল খন্দকার | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সিরাজদিখানে ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিতে হয়। ডাক্তার সঙ্কটে এই জনগোষ্ঠী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাসপাতালটি জেলার ২টি উপজেলার কাছাকাছি হওয়ায় পাশবর্তী শ্রীনগর ও লৌহজং উপজেলা থেকে রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। কাগজে কলমে ২১ জন চিকিৎসক থাকলেও চিকিৎসক আছেন মাত্র ১১ জন। তাই চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন উপজলের দরিদ্র জনগোষ্টি।
জানা যায়, বর্তমানে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে দৈনিক ৫ শ’ থেকে সাড়ে ৬শ’ রোগী সেবা নিতে আসেন। গরমের কারনে জ্বর, ঠান্ডা ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ৫০ শয্যার জন্য ডাক্তার প্রয়োজন ২১ জন। বর্তমানে ১১ জন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। নাক-কান-গলার ডাক্তার ও কার্ডিওলজিস্ট প্রেষণে আছেন। চর্ম-যৌন, চক্ষু ও হাড়-জোড় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ খালি।
সরজমিনে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখ পড়ে রোগীদের উপচেপড়া ভিড়ের দিকে। প্রতিটা চিকিৎসকের কক্ষে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। সবচেয়ে বেশি ভীড় লক্ষ করা যায় শিশু ও মহিলা কনসালটেন্টের কক্ষে। কক্ষেও ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় ৩ থেকে ৪ জন রোগীকে একসাথে সেবা দেয়া হচ্ছে। কক্ষের বাইরে দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়ে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে হাসপাতালের ভেতরে বেঞ্চে বসে আছেন।
সেলিনা হোসেন নামে এক রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে হৃদরোগ, সার্জারি, মেডিসিন, চর্ম ও যৌনসহ, নাক কান গলা, চোখের কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বদিউজজ্জামান বলেন, ‘এ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও জনবল সমস্যাটা সবচেয়ে বেশী। চিকিৎসা সেবা চলমান রাখতে ২১ জন চিকিৎসক দরকার। সেখানে সব মিলিয়ে চিকিৎসক আছে মাত্র ১১ জন।
তিনি আরো বলেন, প্রচন্ড গরমে বর্তমানে হাসপাতালে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি আসছে। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা অধিকাংশ বেশির কারনে রোগীর অনেক চাপ রয়েছে। তাই সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তারদের। এজন্য যে সমস্ত ডাক্তারদের পদগুলো শুন্য আছে সেখানে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে। যারা এখানে নিয়োগ নিয়ে অনত্র কাজ করছেন, তাদের হয় এখানে ফিরিয়ে আনা হোক, নয়ত তাদের পদগুলো শুন্য করে নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করা দরকার।’
জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সুমন বণিক বলেন, ‘সমস্যাটি সমাধানের জন্য আমরা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমি নিজেও আমাদের পরিচালক মহোদয়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই নতুন ডা: নিয়োগ হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ