বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চামড়াজাত পণ্য, এগ্রো প্রসেসিং, পেপার, কেমিক্যালসহ নতুন আরো কয়েকটি খাতকে বন্ড বা শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। ফলে এসব শিল্পে ব্যবহারের জন্য কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। বর্তমানে শুধুমাত্র শতভাগ রপ্তানিমূখী তৈরি পোশাক খাত শুল্কমুক্ত বা বন্ড সুবিধার আওতায় কাঁচামাল আমদানির সুবিধা পাচ্ছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নিজস্ব কার্যালয়ে ‘ইমপ্রæভ ট্রেড অ্যান্ড বন্ডেড ওয়্যারহাউস পলিসিজ’ বিষয়ক কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।
ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, বিশ্বব্যাংক গ্রæপের বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ নুসরাত নাহিদ বাবি, এনবিআরের কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেটের জয়েন্ট কমিশনার মো. মসিউর রহমান, ইআরএফ সহসভাপতি সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইআরএফ ও বিশ্ব ব্যাংক গ্রæপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এ যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, তৈরি পোশাক খাতে এত প্রবৃদ্ধির পেছনে বন্ড সুবিধাসহ বিভিন্ন প্রণোদনার ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮৫ ভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। পাশাপাশি আমরা অন্যান্য পণ্যের রফতানিও বাড়াতে চাই। এজন্য এগ্রো প্রসেসিং, চামড়াজাত পণ্য, পেপার, কেমিক্যালসহ আরো কয়েকটি খাতকে বন্ডেড ওয়্যারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অবশ্য এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বন্ড সুবিধার আওতায় কাঁচামাল এনে পণ্য তৈরি করে তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে প্রকৃত উদ্যোক্তা যেমন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনি সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে কঠোর নজরদারি করেছে রাজস্ব বোর্ডের কাস্টম বন্ড কমিশনারেট।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ইতিমধ্যে তারা ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল ও স্থগিত করেছে। অদূর ভবিষ্যতে বন্ড সুবিধার পুরো সিস্টেম অটোমেশনের আওতায় এনে মনিটরিং করার চিন্তা করছে এনবিআর। এতে এর অপব্যবহার রোধ অনেকাংশে সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।