বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, উন্নয়নের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা শুধু উন্নয়নের কথা এখন বলতে চাই না। বলতে চাই টেকসই উন্নয়নের কথা। কোনোভাবেই যেন একটি সৃষ্টি বিপন্নতার দিকে চলে না যায়।
গণপূর্ত বিভাগের একজন প্রকৌশলী বা নির্মাণকাজে সম্পৃক্তদের আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা, সততা আর নিষ্ঠার দ্বারা কাজ না হলে সে কাজের ক্ষতি হবে সুদূরপ্রসারী। ফলে দায়-দায়িত্বের জায়গা আমাদের কঠিন ও কঠোরভাবে মনে-প্রাণে বোধ করতে হবে।
গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথো বলেন। মন্ত্রী বলেন, দরিদ্র, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, বিপন্ন ও তৃণমূল জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়বদ্ধতার কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। যাদের ত্যাগে, শ্রমে ও অর্থে আজ আমরা এখানে এসেছি, আমাদের সবচেয়ে বড় দায় তাদের জন্য। আর তাদের জন্য দায়ের জায়গায়টি হচ্ছে, বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, দেশের বড় ধরনের উন্নয়নে চালিকাশক্তি বা ক্যাপ্টেন আপনারা। সে কারণে আপনাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজের সঙ্গে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সকলে সম্পৃক্ত। তাই আপনাদের কাজের পরিসর আরো বাড়াতে হবে, বাড়াতে হবে গুণগত মানের। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাত্র তেরো মাসে বিশতলা ভবন পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন করার কৃতিত্ব যারা নিতে পারেন তাদের কেনো ছোটখাটো বিষয়ে বদনামের বোঝা নিতে হবে। আপনারা প্রমাণ করেছেন, আপনাদের যোগ্যতা, দক্ষতা অনেকের চেয়ে অনেক বেশি। সেই দক্ষতা ও যোগ্যতার বিস্তার কেন হবে না। সেটা নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোথাও কাউকে বলিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাজ করেন। আমার মনে হয়েছে, আমরা যে যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করব। তবে সেই জায়গাতে আমি হস্তক্ষেপ করি এবং করব, যদি দৃশ্যমান হয় যে কাজটি হওয়া উচিত ছিল, সেটি হয়নি। মেরামতের নামে কাজ না করে কোটি কোটি টাকা বিনষ্ট করলে আমি চোখ বন্ধ করে থাকব না। মেরামতের নামে অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আছে। এই অভিযোগ আমি শুনতে চাই না। তবে আপনাদের কেউ হুমকি দিয়ে, প্রভাব বিস্তার করে কাজের পথে বাধা সৃষ্টি করলে আমি যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনাদের পাশে আছি।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের ওপর অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপ করার বাজে সংস্কৃতি আমাদের দেশে চালু হয়ে গেছে। আমি যতদিন এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আছি, এই হস্তক্ষেপ যে যেখানে করবে, সে সফল হতে পারবে না। আপনারা মাথা নোয়াবেন না। মেরুদন্ড সোজা করে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী দেশে কেউ না।
মন্ত্রী বলেন, অনিয়মের পরিসর থেকে বেরিয়ে আসুন। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণকে আরো যতœশীলতার সাথে দেখবেন। আমি চাই আমাদের সকল কাজে দায়বদ্ধতা, সততা, স্বচ্ছতা যেন নিশ্চিত হয়। কোনো দুর্নীতি আমাদের কাউকে যেন স্পর্শ করতে না পারে। তিনি বলেন, আমরা সকলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে চাই। সে কাজে আমরা গুণগত মান নিশ্চিত করতে চাই।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্ল্যা খন্দকার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন ও ড. মো. আফজাল হোসেন এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।