Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এখনো আতঙ্ক কাটেনি

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৯, ১২:২৬ এএম

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে খুলনায় অর্ধশতাধিক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ এলাকায় এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। ঝড়শেষে জরুরিভাবে ৪৫টি স্থানে সংস্কার ও মেরামত চলছে। এরই মধ্যে সাইক্লোন সেল্টার থেকে বাড়ি ফিরেছেন উপকূলের মানুষ। তবে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কারণে আতঙ্ক এখনও কাটেনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার ৩২টি পোল্ডারের প্রায় ১০০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জরুরিভাবে খুলনার ১৫টি, সাতক্ষীরার ২২টি ও বাগেরহাটের ৮টি স্থানে বাঁধ মেরামত কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে সিনথেটিক ব্যাগ, জিও ব্যাগ ও মাটির বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষা করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ের আঘাতে খুলনার দাকোপ, কয়রা ও বটিয়াঘাটায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বাকি ৩ হাজার ৬৫০টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। দাকোপ উপজেলায় রিং বাঁধ ভেঙে দু’টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়রায় ঘাটাখালি, ঘোগড়া, হরিণখোলা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।
কয়রার সদর ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, বাতাসের গতিবেগ কমে আসতেই সাইক্লোন শেল্টার থেকে মানুষজন বাড়ি ফিরেছে। কিন্তু ঝড়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে যে কোনও সময় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে উপকূলীয় এলাকার মানুষের আতঙ্ক কাটেনি। স্থানীয়রা জোড়াতালি দিয়ে বাঁধ রক্ষায় কাজ করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ