বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীতে পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে উচ্ছেদে বাধা দেয়ার পর এবার ব্যস্ততম সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা। গতকাল দুপুরে প্রধান সড়কের ব্যস্ততম লালখান বাজার-ইস্পাহানি মোড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের কারণে নগরীর একাংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাহাড়ের বসতিতে গ্যাস বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করার দাবি জানানো হয়। দাবি পূরণ না হলে আবারও সড়কে নামার ঘোষণা দেন ওই দুই নেতা। তারা হলেন সিটি কর্পোরেশনের মহিলা কাউন্সিলর ও নগর মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মণি ও আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম। অবরোধে অংশ নেন লালখান বাজার ও আশপাশের পাহাড়ে বসবাসকারী কয়েকশ নারী-পুরুষ। প্রশাসনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার লালখান বাজার এলাকার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে অভিযান চালিয়ে গ্যাস বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানের একপর্যায়ে ওই দুই নেতার নেতৃত্বে স্থানীয়রা বাধা দিলে অভিযান পুরোপুরি শেষ না করে ফিরে আসেন তারা। এর একদিন পর বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগের দাবিতে রাস্তায় নামেন তারা।
বেলা দুইটায় কয়েকশ মানুষ ইস্পাহানি মোড়ে এসে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুরো এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দিদারুল আলম মাসুম ও মনোয়ারা বেগম মণিকে অনুরোধ করে সড়কের একপাশ থেকে লোকজন সরিয়ে নেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সমাবেশ শেষ করে মাসুম ও মণি বিক্ষুব্ধ লোকজনকে নিয়ে লালখান বাজারে চলে যান। তবে এর আগে পুলিশ কর্মকর্তারা গিয়ে তাদের দাবির কথা শোনেন এবং সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন।
সমাবেশে দিদারুল আলম মাসুম ঘোষণা দেন, আজ সকাল ১১টার মধ্যে লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় বিচ্ছিন্ন করা সংযোগ পুনরায় চালু করতে হবে। অন্যথায় ১১টা থেকে আবারও সড়ক অবরোধ চলবে। উল্লেখ্য, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় ধস ঠেকাতে অবৈধ বসতি উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।