স্কুলছাত্রী অপহরনের দায়ে আরিফুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছে আদালত। 

গতকাল রোববার দুপুরে গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (২) আদালতের বিচারক আব্দুর রহমান এই দÐাদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের চাপড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান সরকারের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়–য়া কন্যাকে (মোহসিনা আকতার মোহিনী) একই গ্রামের আবু সামাদের ছেলে আরিফুল ইসলাম বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি ছাত্রীটির বাবা আরিফুলের অভিভাবক ও গ্রামের গণ্যমান্য লোকদের জানানোর পরও কোন সমাধান হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফুল ইসলাম পরিবারটিকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। ২০১৫ সালে স্কুল থেকে বিকেল ৪টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে আসামী আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা মেয়েটিকে মাইক্রেবাসে তুলে নিয়ে যায়। দীর্ঘদিনেও তার কোন খোঁজ মেলেনি ।
গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর একেএম মহিবুল হক সরকার জানান, দীর্ঘ স্বাক্ষী প্রমানের পর রোববার দুপুরে আদালত মূল অপহরণকারী আরিফুল ইসলামকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় অভিযুক্ত করে পলাতক অবস্থায় যাবজ্জীবন কারাদÐ ও ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের আদেশ প্রদান করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদÐের আদেশ দেন আদালত। দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত অপর ৩ আসামীকে খালাস প্রদান করেন। তারা হলেন রাজাহার ইউনিয়নের চাপড়াপাড়া গ্রামের একাব্বর সরকারের ছেলে সুলতান সরকার (৩০), বরট্ট খামার গ্রামের আব্দুল সামাদের ছেলে আবু তালেব (২৮) এবং পাশ্ববর্তী জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বানদিঘি গ্রামের আক্কাস ফকিরের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৫)।