Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পীরগঞ্জ জেলা পরিষদের মার্কেট দখলে বলপ্রয়োগ

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জেলা পরিষদের সদ্য নির্মিত সেমি পাকা মার্কেটের ৯টি দোকান ঘরে অবৈধভাবে লাগানো তালা ও সাইনবোর্ড অপসারণের পর মার্কেটটি এখন পুরোপুরি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে। গত সোমবার দুপুরে পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তার উত্তরে থানার সামনে মার্কেট দখলকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে দখলবাজদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দ্রæত পুলিশ অকুস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদের তত্ত¡াবধানে পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তার উত্তরে থানার সামনে জেলা পরিষদ পাকা রাস্তার ধারে সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে একটি সেমি পাকা মার্কেটের নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ করে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
জেলা পরিষদের নিজস্ব জমিতে নির্মাণ করা ওই মার্কেটের ২২টি দোকান ঘর বিধিমালা অনুযায়ী বন্দোবস্ত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে কিছু আবেদন জমা পড়ে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় মার্কেটের একটি অংশ অবৈধভাবে নিজের দখলে নিতে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত আলী জেলা পরিষদের সাইনবোর্ড সরিয়ে বঙ্গবন্ধু মার্কেট নাম দিয়ে অবৈধভাবে ৩টি সাইনবোর্ড লাগান। একই সঙ্গে ৯টি দোকানে তালা লাগিয়ে দেন।
খবর পেয়ে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ ৫ সদস্যের একটি টিম অবৈধ সাইনবোর্ড ও দোকানে লাগানো তালা আপসারণ করতে মার্কেটে যান। এরপরই অবৈধ দখলকারী ও তার লোকজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মারপিট করে। স্থানীয়রা থানাকে জানালে দ্রæত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এরপর মার্কেটে লাগানো খয়রাত আলীর অবৈধ সাইনবোর্ড ও দোকান ঘরের তালা খুলে জেলা পরিষদের টিম নিজেদের তালা লাগিয়ে দেয়।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কোরাইশী বলেন, জেলা পরিষদের নিজস্ব জায়গায় পরিষদের অর্থায়নে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে আগে যাদের দোকান ছিল তারা অগ্রাধিকার পাবে। সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও তালা ঝুলিয়ে দখলের চেষ্টাকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে। যাকে কেন্দ্র করে ঘটনা সেই খয়রাত আলী জানান, সেখানে তার আগের দোকান ও অফিস ছিল। সেজন্য তিনি সাইনবোর্ড ও তালা লাগিয়েছেন। পীরগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশিদ বলেন, মার্কেট নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দরখাস্ত পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ