Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের সম্পাদকরা অনেক রিপোর্ট ভয়ে প্রকাশ করেন না

ঢাকায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্যাম্পেইন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বলেছেন, সংবাদ ও সম্পাদকীয় প্রকাশের ক্ষেত্রে চরম মাত্রায় সতর্ক হয়েছেন বাংলাদেশে সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকরা। এমনকি প্রতেশোধ নেয়ার আতঙ্কে তারা অনেক কলাম ও সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিরত থাকেন। প্রথমবারের মতো ঢাকায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্যাম্পেইন ইভেন্টে তিনি এ কথা বলেন।
ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কমেডিয়ান, কার্টুনিস্ট, সাংবাদিক, বøগার, সঙ্গীতজ্ঞ, কবি, অধিকারকর্মী ও সরাসরি পারফরম্যান্স করা শিল্পীরা। তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অগ্রসরমান করার বিষয়কে ফুটিয়ে তোলেন। একই সঙ্গে এসব অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে সরকার ও জনগণ কী ভূমিকা পালন করতে পারে তার প্রতিফলন ঘটানো হয়।
গত শনিবার ঢাকায় ইএমকে সেন্টারে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিড ডে উপলক্ষে এই ইভেন্ট আয়োজন করা হয়। এতে সাদ হাম্মাদি বলেন, যখন মানুষ জানতে পারেন না যে, তারা যা বলেন বা লেখেন তা অপরাধ (অফেন্স) হিসেবে গণ্য হবে; তখন স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে গিয়ে তারা ভীতশঙ্কিত হয়ে পড়েন। তার মতে, এমন অনুভূতি থেকে অসন্তোষের জন্ম হয়। একটি সামাজিক উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা স্বাস্থ্যকর বা উপযোগীও নয়।
অ্যামনেস্টির ক্যামেইন ইভেন্টে স্বাক্ষর করেন কারামুক্ত ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলম, কমেডিয়ান ইয়ামিন খান ও আহমদ আশিক, কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময়, সাংবাদিক শুপ্রভা তাসনিম, আইরিন খান, সৈয়দ তাশফিন চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ইরেশ যাকের, বøগার ও অধিকারকর্মী ফাহমিদুল হক, আর্টিস্ট লিজা হাসান, ঋতু সাত্তার, সাইফ মাহমুদ ও আবীর খালিদ।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিশ্বজুড়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান সম্পর্কে সমর্থন করেন বিভিন্ন স্তরের বিশ্ববরেণ্য আর্টিস্টরা। এর মধ্যে রয়েছে কোল্ডপ্লে, রাসেল ব্রান্ড, জিমি কার, জন স্টিওয়ার্ট, জন অলিভার, স্টিফেন কোলবার্ট।
অনুষ্ঠানে সাদ হাম্মাদি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এই ইভেন্ট হলো স্বাধীনতা বা ফ্রিডমের প্রতি অব্যাহত প্রচারণার অংশ। এর অংশ হলো ওইসব দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে মতামত শেয়ার করার কারণে মানুষকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সুরক্ষা ছাড়া মানুষ অবাধে নিজেকে প্রকাশ ঘটাতে পারে না। তথ্যের ওপর সেন্সরশিপ ও প্রতিশোধের আশঙ্কা জীবনধারণের গুণগত মান হ্রাস পায়। হ্রাস পায় সততা ও জনগণের কাছে জবাবদিহিতার বিষয়।



 

Show all comments
  • Md Rasel Sarkar ৬ মে, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    এ আর বলতে ! ওরাও তো মানুষ তাইতো খাপ খাওয়ান রপ্তে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Abraham Bangol ৬ মে, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    বাংলা‌দে‌শের সম্পাদক ও সাংবা‌দিকরা বর্তমা‌নে অসহায় ! গত ১০ বৎসর থে‌কে তারা তা‌দের চেতনা সরকারের কা‌ছে জমা রে‌খে‌ছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahi Miazi ৬ মে, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    চাটুকারিতা, টাকার লোভ এবং গোলামি করবে না হয় কারা???
    Total Reply(0) Reply
  • Rashed Rasa ৬ মে, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    এটাই সত্য কথা। তবে বেশিরভাগ সাংবাদিকরা চাটুকারে পরিনত হয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • Arif Ali Khan ৬ মে, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    সত্য লিখুন আর চাকরি হারান,সুনাম করুন প্রমোশন পাবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Arafat Shibley ৬ মে, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
    Bangladesh chole tel chapa r tk r upre
    Total Reply(0) Reply
  • Kawsar Ali ৬ মে, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
    দালালিতে ব্যস্ত সংবাদ মাধ্যম
    Total Reply(0) Reply
  • Robius Sunny ৬ মে, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
    রিপোর্ট প্রকাশ করলে সাগর রুনির মতো ঘটনা ঘটবে,,, তাই করেনা
    Total Reply(0) Reply
  • জাবেদ ৬ মে, ২০১৯, ৯:১২ এএম says : 0
    এটাই বাস্তবতা
    Total Reply(0) Reply
  • সোয়েব আহমেদ ৬ মে, ২০১৯, ৯:১৩ এএম says : 0
    কিছু বলার নেই। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সম্পাদক

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ