বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বহিরাগত ও ব্যবসায়ী নামধারী কিছু সুযোগ সন্ধানীর হাতে জিম্মি নরসিংদী জেলার শহরের সবচেয়ে বড় শপিং মল ইনডেক্স প্লাজার শত শত ব্যবসায়ী। চলছে বিভিন্নমুখী চাঁদাবাজির। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়া থাকার কারণে এদের বিরুদ্ধে কোন প্রকৃত ব্যবসায়ী মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সর্বশেষ মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজির শিকার হয়েছে শপিং মলটিতে এসি স্থাপন করার নামে। পুরনো এসিগুলোকে বাতিল দেখিয়ে বিক্রি করে দেড় কোটি টাকারও বেশি টাকার একটি অস্পষ্ট বাজেট নিয়ে মালিক ও ব্যবসায়ীদের উপর মোটা অংকের চাঁদা ধার্য করা হয়েছে। কথিত অস্পষ্ট বাজেটটিতে ট্রান্সটেক কোম্পানির ৫টন ওজনের প্রতিটি এসির মূল্য ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। এই হিসাবে মোট ৭৯টি এসির মোট মূল্য দাঁড়ায় ১ কোটি ৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা। পক্ষান্তরে শপিং মলের প্রতি স্কয়ার ফিট জায়গার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯০ টাকা। এতে শপিং মলের কমবেশি ২১ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গার জন্য চাঁদা ধার্য করা হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে এসি স্থাপনের নামে আরো আনুষাঙ্গিক খরচাদিসহ অতিরিক্ত অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা চলছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, এসি স্থাপনের জন্য শপিংমলের দোকান মালিকদেরকে চাঁদা ধরা হয়েছে ৬৫ ভাগ এবং দোকানদারদেরকে ধরা হয়েছে ৩৫ ভাগ। বাধ্যতামূলকভাবেই দোকানদার এবং মালিকদেরকে এই মোটা অংকের চাঁদা পরিশোধ করতে হচ্ছে।
ইন্টডেক্স প্লাজার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, শপিংমলটি চালু হওয়ার পর থেকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এর পরিচালনার দায়িত্বভার পায়নি। বারবারই প্রভাবশালী বহিরাগতরা কমিটির কর্মকর্তা সেজে ব্যবসায়ীদের উপর চাঁদাবাজি করে আসছে। আদায়কৃত চাঁদার কোন হিসাব পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা।
শপিংমলের নামধারী কিছু ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থে বহিরাগতদেরকে ডেকে আনছে। এর আগে একদল বহিরাগত কিছুদিন চাঁদাবাজি করার পর স্বার্থ দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি হলে অপর আরেক বহিরাগত গ্রæপ এসে কমিটি দখল করে পুনরায় চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হচ্ছে। জান ও মালের নিরাপত্তার কোন প্রতিবাদ করতে পারছে না কোন ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে কমিটির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শপিংমলে এসি স্থাপনের কাজটি করছেন নরসিংদীর একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি কোটেশনের মাধ্যমে ট্রান্সটেক কোম্পানিকে কাজ দিয়েছেন। টাকার যোগান কে দিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, টাকার যোগান দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। কি হারে টাকা নেয়া হচ্ছে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, স্কয়ার ফিট হিসাবে। শপিংমলে কত স্কয়ার ফিটের জন্য কত টাকা নেয়া হচ্ছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন সেটা তিনি জানেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।