Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিবহন খাতে ১০ নম্বর সতর্ক সংঙ্কেত চলছে

মালিক-শ্রমিকদের যৌথ সভায় শাজাহান খান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৯, ২:০১ এএম

 ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ যেভাবে ভয়াবহতা নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছে, পরিবহন খাতে এমন ভয়াবহতা ও বিভিন্ন সমস্যা অনেক দিন ধরেই বিদ্যমান। বাংলাদেশের পরিবহন খাতে এখন ১০ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। 
গতকাল দুপুরে রাজধানীর কাজী বশীর মিলনায়তনে সাম্প্রতিককালে পরিবহন সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যাবলী নিয়ে মালিক-শ্রমিকদের এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় শাজাহান খান বলেন, বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণে মালিক-শ্রমিকদের কোটি কোটি টাকা জরিমানা ও যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে এ খাতের সংশ্লিষ্টদের ভিটামাটি বিক্রি করতে হবে। এ খাত বাতিল করতে হবে। ১০ নম্বর সতর্ক সংকেত মোকাবিলায় মালিক-শ্রমিকদেরও নিজেদের কিছু দুর্বলতা সংশোধন করতে হবে। ভুয়া লাইসেন্স ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা এর মধ্যে অন্যতম। চালকদের সাবধানে গাড়ি চালানোর শপথ নিতে হবে।
সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙা বলেন, পরিবহন খাত স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি সমস্যার মধ্যে আছে। এখন গাড়ি চালালেও, না চালালেও জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু অন্যান্য খাত নিয়ে সরকারের এমন মাথাব্যথা নেই।
সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। পরিবহন সেক্টরে যা শুরু হয়েছে তাতে এই সেক্টরে কেউ বিনিয়োগ করবে না।
সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, চেকপোস্টে একবার চেক করে ¯িøপ দিলে অন্য চেকপোস্টে চেক না করলেও হয়। কিন্তু প্রতিটি চেকপোস্টে চেকিংয়ের নামে হয়রানি করা হচ্ছে।
সারা দেশে দেড় কোটিরও বেশি গাড়ি চলছে, এর মধ্যে ৩৯ লাখ গাড়ি বৈধ। এর কারণে দূর্ঘটনা বাড়ছে। পরিবহন সেক্টরে ধর্মঘট চাই না, কিন্তু আমরা ধর্মঘট দিতে বাধ্য হচ্ছি। মালিক-শ্রমিকদের প্রস্তাব মানা হচ্ছে না। ইচ্ছামতো জেল-জরিমানা করে আমাদের বিষিয়ে তুলছে। ফলে এই সেক্টরে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ