Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দলীয় কৌশলে শপথ নেইনি আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দলীয় কৌশলের কারণে এমপি হিসেবে এখনো শপথ গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমার শপথ গ্রহণ না করার বিষয়টি দলীয় সিদ্ধান্ত। এটা আমাদের কৌশল। সেই কৌশলে আমি শপথ নেয়নি। গতকাল (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবাধিকার সংগঠন ‘আওয়াজ’ এর উদ্যোগে ‘উন্নয়নের মৃত্যুকূপে জনজীবন ও নুসরাত একটি প্রতিবেদন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে কয়েকটি চ্যানেলে থেকে জোরেসোরে এবং কিছু কিছু পত্রিকায় বলা হচ্ছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে বগুড়া থেকে নির্বাচিত বলে ঘোষিত হয়েছিলাম- আমি শপথ নেয়ার জন্য সময় চেয়েছি, আবেদন করেছি। হুইচ ইজ এ বেটেন লাই- স্ট্রেইট এন্ড সিম্পল। আমি কোনো চিঠি দেয়নি, কোনো সময় চাইনি।
বিএনপির চার জন শপথ গ্রহণের বিষয়টি দলের সিদ্ধান্তেই হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোট হয়নি, কোনো নির্বাচনই ছিলো না, ২৯ তারিখ রাতেই ভোট চুরি হয়ে গেছে। সেই নির্বাচনে জনগণকে পুরোপুরিভাবে প্রতারণা করে তাদেরকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সেই নির্বাচন শাসক দল তাদের দিয়ে নিয়ে গেছে। জনগণের ক্ষোভের ধারাবাহিকতায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা শপথ গ্রহণ করবো না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি কোনো সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে থাকবে, স্থবির হয়ে থাকবে-এটা সব সময় সঠিক নয়। বিশেষ করে বর্তমানে যে রাজনীতি চলছে তাকে প্রেক্ষিতে নিয়ে আমরা ন্যূনতম যে সুযোগটুকু আছে সংসদে কথা বলার সেটিকে কাজে লাগানোর জন্য সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা নিয়ে অনেকে অনেক রকম কথা বলছেন। তবে আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্তটা খুব খারাপ না এবং আমাদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় যুক্তি যেটা- এই সামান্যতম স্পেসটাকে ব্যবহার করা।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে- কোনো কিছু স্ট্যাটিক বা স্থির নয়, পরিবর্তন হয়। সময়ের প্রয়োজনে সেই সিদ্ধান্তটা পরিবর্তন হয়। আমরা যখন সব স্পেসে চেষ্টা করছি, তখন ওই স্পেসটাকে নিয়ে রাখতে চাচ্ছি। আমরা দেখছি যে, আমাদের গণতন্ত্রের সমস্ত জায়গাগুলো, গণতন্ত্র চর্চা করার যে জায়গাগুলো, কথা বলার যে জায়গাগুলো, প্রতিবাদ করার যে জায়গাগুলো একেবারেই সংকুচিত হয়ে আসছে। তখন সেই জায়গাগুলো থেকে আমরা কথা বলার চেষ্টা করছি যেখান থেকে প্রতিবাদ ভেসে আসছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সময় প্রমাণ করবে যে এটা (সংসদে শপথ নেয়া) সঠিক সিদ্ধান্ত হলো কি হলো না। আমরা বিশ্বাস করি এই সিদ্ধান্তটা সঠিক সিদ্ধান্ত। এখন অনেকে বলতে পারেন তাহলে আগে কেনো করলেন না? আগে করি নাই বলে এখন যে করব না তার তো কোনো মানে নেই। আগে আমরা নেইনি বিভিন্ন প্রেক্ষিতে, এখন আমরা নিচ্ছি বাস্তবতার প্রেক্ষিতে।
সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো সমঝোতা নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমঝোতার কথা অনেকে বলেছেন। বিএনপি সমঝোতা করলে অনেক আগেই সমঝোতা করতে পারতো। বেগম খালেদা জিয়া যদি সমঝোতা করতো তাহলে উনি প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না বহু আগে থেকে- এই কথাগুলো আপনাদের মনে রাখতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার সেই নেত্রী যিনি কখনোই তার নীতির প্রশ্নে কোনো আপোষ করেননি। আমরা সেই দল যারা বেগম খালেদা জিয়ার সেই নীতিকে সামনে নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আমরা বাস্তবতা সামনে রেখে চলছি, আমরা অন্ধের মতো চলছি না। আমরা দেখছি যে, বাস্তবতাগুলো কি? আমরা কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করিনি, আমরা বিদেশের রাজনীতিকে আলোচনা করছি, পর্যালোচনা করছি। আমরা বিদেশীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করে, দেন-দরবার করে কোনো কিছু করিনি। আমরা তাদের কথাগুলো শুনছি, আমরা বিশ্বরাজনীতির পরিস্থিতি দেখছি, বাংলাদেশের রাজনীতির পরিস্থিতি দেখছি। এই দেখেশুনে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ৪/৫ আছেন তারা সংসদে গিয়ে কথা বলবেন। তার প্রমাণ আপনারা দেখেছেন- গতকালই হারুন সাহেব (হারুনুর রশীদ) সংসদে যে বক্তব্যে সেখানে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে এসেছে।
সংগঠনের সভাপতি সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও বিলকিস জাহান শিরিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, আওয়াজের প্রধান সমন্বয়নকারী শাহিদা রফিক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ