Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাটহাজারী খালে ছড়িয়ে পড়ছে ফার্নেস অয়েল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন তদন্ত দলের

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

হাটহাজারীতে ফার্নেস অয়েলবাহী ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেল বিভাগের পৃথক তিনটি তদন্ত দল। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে তদন্ত দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রেলওয়ের ব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহম্মদও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুর্ঘটনায় পতিত মাছ ও জীববৈচিত্রের জন্য ক্ষতিকর ফার্নেস অয়েল খালের পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে মরাছরা খালে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ক্ষতিকর তৈল যাতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া দুর্ঘটনার পর নাজিরহাটের সাথে বন্ধ ট্রেন যোগাযোগ চালু করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ দ্রæত কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত সোমবার আড়াইটার দিকে হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফার্নেস অয়েলবাহী ট্যাংকার পৌরসভার দেওয়াননগর এলাকার মরাছরা খালের রেল সেতুতে লাইনচ্যুত হয়ে তিনটি ট্যাঙ্কার খালে পড়ে যায়। এসব ট্যাঙ্কারে প্রতিটিতে ২৪ হাজার লিটার করে ফার্নেস অয়েল ছিল। তাছাড়া আরো চারটি ট্যাঙ্কার লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। মরাছরা খালে পড়ে গিয়ে ট্যাঙ্কারে রক্ষিত ফার্নেস অয়েল পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়।
ফার্নেস অয়েল যাতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে গিয়ে পড়তে না পরে সেজন্য খালের দীর্ঘ আড়াই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে উপজেলা প্রশাসন দুর্ঘটনার পর দিবাগত রাত পর্যন্ত ১১টি স্থানে বাঁধ দিয়ে খালে পানি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। তাছাড়া ক্ষতিকর এ তৈল সরানোর জন্য উদ্যেগ গ্রহণ করেছেন। এমনকি স্থানীয় জনসাধারণকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে ইউএনও গত সোমবার সন্ধ্যায় মাইকিং করেছেন। ছরা থেকে সংগৃহীত তৈলের বিক্রিলব্ধ অর্থ সংগ্রহকারীদের প্রদান করা হবে বলে ও প্রচার করা হয়। মাইকিং শুনে সোমবার থেকে অসংখ্য লোক তৈল সংগ্রহ করতে ছরাখালে নেমে পড়ে।
গত সোমবার থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত খালের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১৫ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংগৃহীত এসব ফার্নেস অয়েল পদ্মা অয়েল কোম্পানীর নিকট বিক্রি করার প্রস্তাবনা প্রদান করা হয়। প্রস্তাবনা পেয়ে কোম্পানীর ব্যবস্থাপক অপারেশন আবু সালেহ ইকবাল কোম্পানীর স্টাফ, গাড়ী ও তৈল পরিবহনের সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। স্থানীয় জনগণ কর্তৃক সংগৃহীত প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েল ২০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
রেল কর্তৃপক্ষের কর্মীরা নাজিরহাটের সাথে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে দুর্ঘটনার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার খালে পড়ে যাওয়া ট্যাঙ্কারগুলো থেকে লাইনচ্যুত চারটি ট্যাঙ্কার বিচ্ছিন্ন করে রেলকর্মীরা রেল লাইনে প্রতিস্থাপন করেছেন। খালে পড়া ট্যাঙ্ক গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পার হলেও তা তুলতে পারেনি। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খালে পড়ে যাওয়া ট্যাঙ্কারগুলো উদ্ধার করা হয়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ