Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফেরিতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলবে না

ঈদের আগে-পরে ৬ দিন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আগামী রোজার ঈদের আগে ও পরে তিন দিন করে মোট ছয় দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নির্বিঘেœ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীল মতিঝিলে বিআইডবিøউটিএ ভবনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি ও অন্যান্য জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ-সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে গুলো হচ্ছে, লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতে নৌপথে সব মাছ ধরার জাল পাতা বন্ধ রাখতে হবে। রাতে সব ধরনের মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। আগামী ১ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত দিনের বেলায়ও সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
সভায় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নৌপরিবহন ব্যবস্থা আগের চেয়ে বেশি নিরাপদ। গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে সামগ্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। নৌপথ খননের জন্য ৪০০ থেকে ৫০০ ড্রেজার প্রয়োজন।
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময়ে বিআইডবিøউটিএ’র ড্রেজার ছিল মাত্র সাতটি। গত ১০ বছরে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২০০ ড্রেজার যুক্ত হয়েছে। আগামী এক বছরে আরও ১৫০টির মতো ড্রেজার যুক্ত হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সরকারি দলের এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাৎ হোসেন, বিআইডবিøউটিসি’র চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, বিআইডবিøউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সেয়দ আরিফুল ইসলাম, নৌপুলিশের ডিআইজি শেখ মারুফ হাসান, বিভিন্ন জেলার ডিসি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, লঞ্চ মালিক ও নেতারা
সভায় জানানো হয় যে, ঢাকার সদরঘাটে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আনসারসহ কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা এবং সদরঘাট থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা হকারমুক্ত রাখা হবে।
সদরঘাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্টীলের ডাষ্টবিন স্থাপন, জনগণকে ডাষ্টবিন ব্যতীত নদীতে কিংবা পন্টুন/গ্যাংওয়েতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে নিরুৎসাহিত করা এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিতকরণ পর্যায়ক্রমে সকল ঘাটে এ ব্যবস্থা চালু করা হবে। টার্মিনাল গুলো সতর্কমূলক বাণী মাইকে ও মনিটরে প্রচার করা হবে।
ঘাট ইজারাদার কর্তৃক যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডবিøউটিএ’র কার্যকর গ্রহণ এবং লঞ্চে যাত্রী ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাষ্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, শ্রমিক, যাত্রীদের হয়রানি ও ভীতিমূলক অবস্থা প্রতিরোধ করার জন্য রাতে পুলিশের টহলের ব্যবস্থা এবং নদীতে এলোমেলো ভাবে ট্যাংকার, লঞ্চ, কোষ্টার বার্জ ইত্যাদি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ