Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজার-চট্টগ্রামে দূরত্ব কমবে ৫০ কিমি

উপকূলীয় আঞ্চলিক মহাসড়ক

কক্সবাজার থেকে জাকের উল্লাহ চকোরী | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

কক্সবাজার শহর থেকে চকরিয়ার ঈদমনির লাল ব্রিজ পর্যন্ত ৩৬ কিমি রাস্তা নির্মিত হলে চট্টগ্রাম শহরের সাথে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে ৫০ কিমি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আঞ্চলিক মহাড়কের ৭৬ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ সম্পর্ণ হয়েছে। ওই ৩৬ কিলোমিটারের নির্মাণ কাজের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পর্ণ করতে প্রাথমিক সাম্ভব্যতা যাচাই করেছে। একনেকে অনুমোদিক হলে বাকি অংশের কাজ চলতি বছরের যে কোন সময় শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। বাকি অংশের কাজ সম্পর্ণ হলে এ আঞ্চলিক মহাসড়কটির গুরুত্ব বাড়বে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ১৫টি উপজেলার প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপক‚লীয় আঞ্চলিক মহাসড়ক বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে কক্সবাজার শহর থেকে চকরিয়ার ঈদমনি পর্যন্ত ১২০ ফুট চওড়া বিশিষ্ট ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন সড়ক নির্মাণে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করছে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে একদিকে চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ি থেকে কক্সবাজার শহরের দুরত্ব ৫০ কিলোমিটারের বেশি কমে যাবে, অন্যদিকে উপক‚লীয় অঞ্চলের বিশাল এলাকা অর্থনৈতিক জোন এলাকা হয়ে ওঠবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। কক্সবাজার শহর থেকে খুরুশকুল বাঁকখালী নদীতীর ও মহেশখালী চ্যানেলের তীর ধরে চৌফলদন্ডি পোকখালী-খুটাখালী-ডুলাহাজারা ও ফাঁসিয়াখালী হয়ে ঈদমনি সড়কের সাথে মিলিত হবে প্রস্তাবিত সড়কটি।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে আরো বেশ কয়েক বছর আগে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপক‚লীয় আঞ্চলিক মহাসড়ক বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথম ধাপে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্যাকেজের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অংশে সড়ক বাস্তবায়নের পর এবার কক্সবাজার অংশে আরো চওড়া সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, ‘কক্সবাজার-চৌফলদন্ডি-ঈদমনি সড়ক নির্মাণ’ নামের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প গত পহেলা এপ্রিল চট্টগ্রামস্থ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কার্যালয় হয়ে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পরে সেখান থেকে প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রকল্পটি একনেকে উপস্থানের জন্য আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে একনেকে পাশ হলেই নব উদ্যমে ও দ্রæতবেগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ