Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগের তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ দুই প্রকৌশলীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে ৫ সদস্যের এই কমিটির তিনজন যুগ্ম সচিব ও একজন উপসচিবকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব মো: জহিরুল ইসলাম। এ কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, আইন বহির্ভূতভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত দুই পরিচালক প্রকৌশলী আবুল কাশেম ও প্রকৌশলী একেএম সহিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, পলিসি সাপোর্ট ইউনিটের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্মসচিব, নগর উন্নয়ন-২ এর দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব এবং পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা একজন উপসচিব। দুদক থেকে পাঠানো চিঠিতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে, এই সময় কী বাড়ানোর প্রয়োজন মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখি আমরা কাজতো শুরু করেছি। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখবো। এরপর কাজের উপর নির্ভর করে একান্ত প্রয়োজন হলে সময় বাড়ানোরও আবেদন করা হতে পারে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আমি গতকাল মাত্র জেনেছি। আমি এই কমিটির প্রধান বা সভাপতি আমি নই। এখানে যিনি সভাপতি আছেন তিনি যেভাবে মিটিং কল করবেন সেভাবেই আমরা বসবো। তবে ইতোমধ্যে এই তদন্ত কাজ শুরু করেছি।
গত ১২ মার্চ দুদক থেকে পাঠানো চিঠিতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই চিঠির সঙ্গে দুদকে জমা হওয়া অভিযোগের কপিও এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে দুদক।
এরপরই ২৯ এপ্রিলে তদন্ত কমিটির ৫ সদস্যের নাম উল্লেখ করে সরকারি আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি ঢাকা ওয়াসার পদ্মা-জশলদিয়া প্রকল্পের পাইপ ক্রয়ের ৫০০কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। এ ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে- চুক্তি মোতাবেক ২২ দশমিক ৫ মিলিমিটার পুরুত্বের (বিশেষ ক্ষেত্রে ১৯ দশমিক ২ মিলিমিটার) পাইপ ক্রয়ের কথা থাকলেও পাইপ নেয়া হয়েছে নিম্নমানের ১৯ মিলিমিটার পুরুত্বের। আর গুলশান-বনানী লেক উন্নয়ন প্রকল্পের ৫০ কোটি টাকার প্রকল্পে ভয়াবহ অনিয়ম হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়ে ওই প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আখতারুজ্জামানকে শাস্তির সুপারিশ করলে উল্টো ঢাকা ওয়াসা তাকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী করেছে।
##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ