রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের অভয়নগরে শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়ায় অরক্ষিত ১২টি রেলগেট। রেল ও মহাসড়কের গা ঘেষে কয়লার ড্যাম্পিং করার কারনে প্রায় ঘটছে দুঘটনা। বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা ঘাট গোডাউন থেকে মালামাল সরবরাহ করা ট্্রাক রেললাইনের ওপর দিয়ে চলাচল করায় দুর্ঘটনার কারণ বলে জানা যায়। বানিজ্য শহর নওয়াপাড়া থেকে আমদানীকৃত সার ও কয়লা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। সেই অনুযায়ী এখানে মহাসড়ক, রেললাইন ও নদী ঘেষে গড়ে উঠেছে ঘাট গোডাউনসহ বড় বড় ইমারত। গোডাউন ইমারতের বাইরে রেলওয়ে ও মহাসড়কের জায়গা দখল করে রেল ও মহাসড়কের গা ঘেষে কয়লার বড় বড় ড্যাম্পিং করা হয়েছে। দেখে মনে হয় যেন পাহাড়ি এলাকা।
সরজমিনে দেখা যায়, ট্রেনলাইনের দু’পাশে, চেঙ্গুটিয়া থেকে নওয়াপাড়া রেলস্টেশন পর্যন্ত কয়লা ও জীপসামসহ বিভিন্ন সার পাহাড়ের মত উঁচু করে ড্যাম্পিং করে রাখা হয়েছে। এ কারনে বাস ও ট্রেন চালকরা সামনে থাকা কিছুই দেখতে পান না। একদিকে নদী অন্য দিকে রেললাইন ও যশোর-খুলনা মহাসড়কের মাঝে অবশিষ্ট জায়গাগুলো কয়লা ও সার রেখে দখল করা হয়েছে। সরকারি জায়গা দখলের উৎসব চললেও কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারনে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এর ফলে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। নওয়াপাড়ায় এ পর্যন্ত দু’টি ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। যা শুধুমাত্র ট্রেনলাইনের দু’পাশে কয়লা রাখার কারণে। ট্রাক চালকরা না দেখে রেললাইন পার হতে গেলেই এই দুর্ঘটনা ২টি ঘটেছে।
সরজমিনে আরো দেখা যায়, ১০ থেকে ১২টি ঘাট থেকে ট্রেনলাইন পার হওয়ার পথ রয়েছে। এসব পথে নেই কোন গেট প্রতিরোধক বা গেটম্যান। যার ফলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। অভিজ্ঞরা মত দিয়েছেন রেল লাইন ও মহাসড়কেরে গা ঘেসে রাখা কয়লা ও সার সরিয়ে না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশংকা আরো বাড়বে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কয়লা ব্যাবসায়ী বলেন, আমরা মহাসড়কের পাশে ও রেললাইনের জায়গায় জমি লিজ নিয়ে কয়লার স্তুপ করেছি।
বিষয়টি সম্পর্কে নওয়াপাড়া রেলস্টেশনের মাস্টার মহসীন রেজা জানান, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে রেললাইনের ওপর দিয়ে ট্রাক চলাচল করছে ও রেললাইনের পাশ দিয়ে কয়লা ও সার ড্যাম্পিং করে রাখা হয়েছে। আমি ইতোমধ্যেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবগত করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।