Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইউএসটিআর প্রতিনিধি-বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক

তৈরী পোশাকের উপযুক্ত মূল্য চায় বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ তৈরী পোশাক সেক্টরে আমুল পরিবর্তন এনেছে। তৈরী পোশাক কারখানাগুলো আধুনিক ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। ফায়ার ও বিল্ডিং সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন শ্রমিকরা নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। টিপু মুন্শি বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ^মানের পন্য উৎপাদন করতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার ও উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে একের পর এক গ্রীণ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে তৈরী পোশাকের উৎপাদন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পয়েছে। সে তুলনায় ক্রেতাগোষ্টি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের বড় রফতানি বাজার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা এখন জরুরি।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ডেপুটি এ্যাসিসটেন্ট ইউএসটিআর জেবা রিয়াজউদ্দিন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইয়াল আর. মিলার সহ টিকফা মিটিং-এ অংশ গ্রহনকারী ১২ সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধি দল এর সাথে মত বিনিময়ের সময় এ আহবান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংরাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। বাংরাদেশ মার্কিন বিনিয়োগ আশা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার খুবই আন্তরিক। অতি সহজেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য করার সুযোগ এসেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা) কাউন্সিলের ৪র্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উল্লিখিত টিকফা সভার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এটি মধ্য মেয়াদি পর্যালোচনা সভা। এ সভায় বাইলেটারেল ট্রেড, ইনভেষ্টমেন্ট ক্লাইমেট, ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস, ফেয়ার প্রাইজ, টেরিফ এবং নন-টেরিফ বেরিয়ার, ইটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস, টেকনোলজি ট্রান্সফার, ডিজিটাল ইকোনমি, ট্রেড ফেসিলিটেশন, রিজিওনাল কানেকটিভিটি, ট্রেড রিলেটেড ক্যাপাসিটি বিল্ডিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ডেপুটি এ্যাসিসটেন্ট ইউএসটিআর জেবা রিয়াজউদ্দিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সভায় যুক্তরাষ্ট্র হতে আমদানিকৃত তুলার দ্বিত্ব ফিউমিগেশন, ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড পলিসি অবহিত করণ, শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিষয় তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের পক্ষ হতে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে জিএসপি, বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করণ, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশে বিনিয়োগ, এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীণ হতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাবব্য সহযোগিতার বিষয়গুলো সভায় তুলে ধরা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ