বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সন্তানের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাইদুর রহমান পায়েলের মা কোহিনূর বেগম। গতকাল রোববার আলোচিত এ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবদুল হালিমের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। পরে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। আদালতের বিশেষ পিপি আইয়ুব খান বলেন পায়েলের মা ন্যায় বিচার চেয়েছেন।
আদালতে কোহিনূর বলেছেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসে উঠে পায়েল তার সঙ্গে ফোন করে কথা বলেছিলেন। কিন্তু সকালে তিনি পায়েলের ফোনে কল করলে সেটি ধরে পায়েলের বন্ধু আদর। কোহিনূর বলেন, আদর আমাকে জানিয়েছে পায়েল প্রস্রাব করতে নেমে আর বাসে উঠেনি। কাউন্টার থেকে বাস চালক ও সুপারভাইজারের নম্বর সংগ্রহ করে খোঁজ নিতে শুরু করি এবং তারাও জানিয়েছে পায়েল আর বাসে উঠেনি। পরে গজারিয়া থানায় গেলে পুলিশ জানায় বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজার মিলে পায়েলকে খুন করেছে।
গত বছরের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের বাসা থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন পায়েল। ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে পায়েলের লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ। এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনি এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিরা তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র পায়েল। পায়েলের মৃত্যুর পর তার মামা গোলাম সরোয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় ওই হত্যা মামলা দায়ের করেন। গজারিয়া থানার পুলিশ ওই তিনজনকে আসামি করে ৩ অক্টোবর অভিযোগপত্র জমা দেয়। মুসিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। পরে পায়েলের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রæত বিচার ট্রাব্যুনালে স্থানান্তরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
চট্টগ্রামের আদালতে গত ২ এপ্রিল তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে মামলার বাদী ও পায়েলের দুই বন্ধু আদর ও শান্ত আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।