পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কবিরাজের বাড়িতে নিবে বলে ভাড়াটিয়া স্কুলছাত্রীকে ডেকে নেয় বাড়ির মালিক ডাক্তার নাছিরের স্ত্রী হাছিনা বেগম। পরবর্তীতে কৌশলে নারায়নপুর গ্রামস্থ পরিত্যক্ত খাদ্য গোডাউনের পাশে নিয়ে ধর্ষক মুসাকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে তিনি পালিয়ে যান। এসময় মুসা ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা গতকাল আদালতে মামলা করেন। এদিকে, কুষ্টিয়ায় ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সমবয়সী এক মেয়েকে দিয়ে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেছে এক যুবক। এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রী, শ্রীবরদী উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরী ও শেরপুরে ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসকল ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ রিপোর্ট :
চৌদ্দগ্রাম : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভাড়াটিয়ার স্কুল পড়–য়া মেয়েকে কৌশলে ডেকে এনে ধর্ষকের হাতে তুলে দিলেন বাড়ীর মালিকের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গুনবতীর নারায়নপুর গ্রামে। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী গুনবতী স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় গতকাল ছাত্রীর বাবা দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক মো. মুসাকে গ্রেফতার করেছে। মুসা গুণবতী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তের বছর বয়সী ওই ছাত্রী গুণবতী হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে। ছাত্রীর বাবা দীর্ঘদিন ধরে গুণবতী ইউনিয়নের দশবাহা গ্রামে ডাক্তার নাছিরের বাড়িতে ভাড়ায় থেকে দিনমজুরের কাজ করেন। ধর্ষক ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো এবং খারাপ প্রস্তাব দিতো। গত শনিবার সন্ধ্যায় হাছিনা বেগম স্কুলছাত্রীকে কৌশলে নারায়নপুর গ্রামস্থ পরিত্যক্ত খাদ্য গোডাউনের পাশে নিয়ে মুসাকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে তিনি পালিয়ে যান। এসময় মুসা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এলে মুসা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে মূল আসামি মুসাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া : এবার ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সমবয়সী এক মেয়েকে দিয়ে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেছে মিলন হোসেন নামের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে। গত শনিবার সকালে বিষয়টি জানতে পেরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরানী ফেরদৌস দিশা মডেল থানার পুলিশ নিয়ে মেয়ের বাড়িতে যান। সব শুনে তিনি থানা পুলিশকে মামলা নিয়ে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন। ওই স্কুলছাত্রী জানায়, ১ মাস আগে মিলন তাকে ধর্ষণ করে। শনিবার সকালেই অভিযুক্ত মিলন ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপন করেছে।
এদিকে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ ইউনিয়নে দেবরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ভাবি। এ ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে দেবর। পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ এলাকার পান্নার ছেলে সুমন ঘরে ঢুকে ভাবির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের শিকার ভাবি ঘর থেকে বের হয়ে এসে শ্বশুরকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে এসে বিষয়টি জেনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দেন। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, ধর্ষক সুমনকে ধরতে অভিযান চলছে।
শেরপুর : শেরপুরের নকলা উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সুবেল মিয়া (২২) নামের এক যুবককে করেছে গ্রেফতার পুলিশ। গতকাল ভোরে নকলা থানার পুলিশ সুবেলকে উপজেলার দড়িপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার সুবেলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের জাথালিয়ায় শনিবার দুপুরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার অভিযুক্ত অমিত হাসান অপু উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে এবং ধর্ষণের সহযোগী একই উপজেলার গোসাইবাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে লাবিব উদ্দিন। ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেছেন। ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই জামাল উদ্দিন জানান, ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
শ্রীবরদী (শেরপুর) : বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের ঝগড়াচর বাজার গরুহাটি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার বাসিন্দা। আর অভিযুক্ত জসিম মিয়া উপজেলার ঝগড়ারচর বাজার গরুহাটি গ্রামের নাদের কেরানীর ছেলে। নির্যাতনের শিকার কিশোরী বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় জসিম ও তার সহযোগী কাউনের চর তিনানীপাড়া গ্রামের জিন্নাহর ছেলে রিপন মিয়ার নামে মামলা করেছে।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) : ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ছাতকের গোবিন্দনগর ফজলিয়া ফাজিল মাদরাসার ইংরেজি শিক্ষক রাজিবুর রহমানকে গত শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিক্ষক রাজিবুর রহমান অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা সাজানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা : জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিয়েছে প্রেমিকা। প্রেমিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গত শনিবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় মামলাটি করে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। ধর্ষক প্রেমিক জালালাবাদ গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪)। এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।