Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

কক্সবাজার ও কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছে। নিহতরা নৌদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত বলে দাবি করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিন, এলজি, কার্তুজ ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। আহত হয় চার পুলিশ সদস্য। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন :
বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে জানান, কুতুবদিয়ার লেমশিখালি দরবার ঘাট এলাকা থেকে ২জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার ভোরে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, দুইটি কার্তুজ ও দশটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। পুলিশ জানায়, সন্ত্রাসীরা ৩০ রাউন্ড এবং পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস জানান, লেমশীখালী দরবার জেটিঘাট এলাকায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেখানে যায় পুলিশ। সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে জানান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া স্বস্তিপুর এলাকায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী কথিত বন্দুকযুদ্ধে রফিক উদ্দিন (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত মাদক ব্যবসায়ী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাড়াদী এলাকার দাউদ আলীর ছেলে। এই ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগাজিন ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার পর পুলিশের কাছে খবর আসে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদলিয়া স্বস্তিপুর এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে বন্ধুকযুদ্ধ চলছে। এমন খবরে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌছালে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এর কিছুক্ষন পর তারা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশের দাবি নিহত ব্যক্তি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। নিহত মাদক ব্যবসায়ীর লাশ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ