Inqilab Logo

সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

হতাশ হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়বে না শিক্ষার্থীদের পরিকল্পনামন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের হতাশ হয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে জড়িয়ে না পড়তে আহŸান জানিয়েছেন পরীকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির ১০ম জাতীয় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন এবং ‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কৌশল’ শীর্ষক এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর এম এ জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সহ-সভাপতি এ জেড এম সালেহ, পিকেএস এফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীলুজ্জামান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, তোমরা যত খুশি সমালোচনা করো। যেটা প্রতিবাদ করার চোখ-কান বুজে মেনে নেওয়ার দরকার নেই সেটা অবশ্যই প্রতিবাদ করবে। কিন্তু বিধ্বংসীভাবে কোন কিছু করো না। কোন হটকারী পথে যদি তোমরা আগাও তাহলে তোমাদের নিজেদের ক্ষতি হবে, দেশের ক্ষতি হবে। তোমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে না। তাই চোখ কান খোলা রেখে নিজেকে বিশ্বের সাথে যোগাযোগ রেখে ভূমিকা রাখতে হবে।
২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলার ছাড়াবে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশের নিম্নতম পর্যায়ে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হবে। আমাদের মাথাপিছু আয় বর্তমানে দুই হাজার ডলারের কাছাকাছি। ২০৪০ সালের মধ্যে তা চার হাজার ডলার ছাড়াবে।
মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে প্রবাসী ও শ্রমিকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব অর্জনের পেছনের নায়করা হচ্ছেন- কৃষিক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তারা, বিদেশে তপ্ত মরুভূমিতে কাজ করে নিজে খেয়ে না খেয়ে যারা এদেশে প্রতিনিয়ত রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে সেসব শ্রমিকরা ও গার্মেন্টস সেক্টরে যারা বিরামহীন কাজ করছে সেসব মজুর, বিশেষ করে নারীরা।
বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড ও পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে এম. এ. মান্নান বলেন, আমরা এখন নীল অর্থনীতি নিয়ে কথা বলছি। স্থল বন্দরের মধ্যে পায়ড়া বন্দর রয়েছে, পানির নিচে আমরা কর্ণফুলিতে ট্যানেল করছি যা এ অঞ্চলের মধ্যে প্রথম। আমাদেরকে সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ আমরা দরিদ্রকে মোকাবিলা করতে পারছি না। আমাকে যদি কিছু দিতেই হয় তাহলে নিজেকে কিছু অর্জন করতে হবে। না করলে কী দেব, কারণ এখনও প্রায় ২১ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে আছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন ইতিহাসের শিকার, এই বাংলা অনেক বছর ইতিহাসের শিকার ছিল। সম্পদ গেলে আমরা দরিদ্র হবো। তাই হতাশ হলে চলবে না। এটাকে শিকার করে ইতিহাসকে সম্মান করে আমাদেরকে এগোতে হবে। যাতে করে আর কেউ সুযোগ নিতে না পারে। আমাদের যে অধিকার সেটা যেন কোনভাবেই হুমকির সম্মুখীন না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।।
অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. আবুল বারাকাত বলেন, আমরা যখন পদ্মা সেতু করার পরিকল্পনা করেছিলাম তখন বিশ্বব্যাংক বলেছিলো এখানে নাকি দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তারা পদ্মা সেতুর জন্য টাকা দেয়নি এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে এ প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে। তবে প্রবৃদ্ধিও পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যও কমাতে হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ