বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকায় মহি বাহিনী এখন মূর্তিমান আতঙ্ক। এ বাহিনীর ভয়ে গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস টুকুও পাচ্ছেনা। মহি বাহিনীর হুমকিতে গত দুই বছর ধরে ১২ পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কয়েকটি পরিবারের বসতবাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে এ বাহিনীর সদস্যরা। গ্রামে আসলেই হামলা-মামলা লুটপাট ও হত্যার হুমকি দেয়া হয় পরিবারগুলোকে।
বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া জানান, ২০১৭ সালের ২৭ মে বাড়ির সীমানা দিয়ে মসজিদে যাওয়ার জন্য একটি চলাচলের রাস্তা দেন। ওই রাস্তায় বাধা দেয় একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন। আর এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় মহিউদ্দিনসহ তার বাহিনীর সদস্যরা গ্রামের প্রতিবাদী লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। শুধু তাই নয়, তার মা জয়নব, বোন জহুরা, ভাগ্নি হেপি, চাচা আব্দুর রহিম, বোন জামাই মানিক, আব্দুল জলিল, চাচি সহিতুন্নেছা ও ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এরপর মহি বাহিনী আব্দুল করিমের ছেলে ইউসুফের বসতঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে সশস্ত্র মহড়া দেয়। বিশেষ করে ফারুক মিয়াসহ বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল করিম, বোরহান উদ্দিন, আব্দুর রহমানের ছেলে আফর উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, আব্দুল হাসিমের ছেলে মানিক মিয়া, নুরু মিয়া, আব্দুল করিমের ছেলে মনিরুজ্জামান, ইউসুফ মিয়া, আবু সুফিয়ান, রাজু মিয়া, বোরহান উদ্দিনের ছেলে অহিদ পরিবার নিয়ে দুই বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা চনপাড়া পূণর্বাসন কেন্দ্র, বন্দর থানার মদনপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ, কুমিল্লার মেঘনার পাড়, ঢাকা সেগুন বাগিচা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তারা এলাকায় আসলেই হামলা-মামলা লুটপাট ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে মহিউদ্দিন ওরফে মহি বলেন, আমার কোন বাহিনী নেই। আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ধরনের বিষয় আমার জানা নেই। এ ধরনের ঘটনা হয়ে থাকলে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। যত বড় বাহিনীই হোকনা কেন, কোন ছাড় নেই।
জিহ্বা কেটে স্ত্রীকে হত্যা
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: সিরাজদিখানে পাষন্ড স্বামী কুপিয়ে ও জিহবা কেটে হত্যা করেছে স্ত্রীকে। স্ত্রী শাহীনুর বেগমকে (৫৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং জিহ্বা কেটে নির্মম ভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটায় পাষন্ড স্বামী মমিনুল ইসলাম (৬০)। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী মমিনুল পলাতক রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম পাউশার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছে। রাতে স্ত্রীকে মারধর করে মুমূর্ষ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় মমিনুল। গতকাল সকালে নিহতের স্বজনরা শাহিনুর বেগমকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
নিহত শাহিনুর বেগমের ভাই সুলতান মিয়া জানান, প্রায় ৩৮ বছর আগে আমার বোনের সাথে বিয়ে হয় মমিনুলের। বিয়ের পর থেকেই বোনকে নির্যাতন করত। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আমার বোনকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করে আমার বোনের জিহ্বা কেটে ফেলে এবং মাথায় একাধিক আঘাত করে। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথেই আমার বোন মারা যায়।
শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, একাধিক বার বিচার সালিশ করার পরও মমিনুল শোধরায়নি। তেমন কোন কারণ ছাড়াই সব সময় স্ত্রীকে মারধর করত। সর্বশেষ মেরেই ফেলল, তার বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমে শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই।
সিরাজদিখান থানার শেখরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো.সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল। রাতে স্ত্রীকে মেরে মমিনুল পালিয়ে যায়। লাশ ময়নাতন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে আছে এবং এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে কি কারণে এমন ভাবে মারল তা জানাযায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।