Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাটোরে ৭৬ সেতু, যোগাযোগে নবদিগন্ত

নাটোর থেকে মো. আজিজুল হক টুকু | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

নাটোরের ৭৬টি সেতু যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। গ্রামীণ সংযোগ স্থাপন, ফসল বাজারজাতকরণ, পণ্য ও মানুষের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে সর্বমোট ২৪ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ পর্যন্ত মোট ৭৬টি সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এসব সেতু নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা সূত্রে জানা যায়, নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলায় চলমান অর্থ বছর ছাড়াও বিগত দুইটি অর্থ বছরে গ্রামীণ রাস্তায় (১২ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত) সেতু/কালভার্ট নির্মাণ এবং গ্রামীণ রাস্তায় কম-বেশী ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৭৬টি সেতু নির্মাণ কাজের মধ্যে ৬১টি শেষ হয়েছে এবং ১৫টি চলমান সেতু নির্মাণ কাজ চলতি অর্থ বছরের জুন মাসে শেষ হবে। নদী, খাল, জলা এবং রাস্তার ওপরে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
গৃহবধূ মরিয়ম বেগম, তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র বোরাক হোসেন, পারভিন হাইস্কুলের শিক্ষক সোহেল রান, রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন, ছাতনী দিয়ার দক্ষিণপাড়া এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমানসহ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া সেতুগুলোর দুই পাশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেতু নির্মাণের ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে সময়ের সাশ্রয় ঘটেছে, উৎপাদিত ফসল খুব সহজেই বাড়িতে আনা যাচ্ছে এবং বাজারজাত করা যাচ্ছে, রাস্তার ওপরে নির্মিত সেতুর নীচ দিয়ে অবাধে পানি চলাচল করতে পারায় অনেক ক্ষেত্রে মাঠের জলাবদ্ধতা রোধ হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে খুব সহজেই গ্রামবাসীরা প্রয়োজনমত শিক্ষা, প্রতিষ্ঠানে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কিংবা বাজারে যেতে পারছেন। গ্রাম থেকে যেতে পারছেন জেলা শহরে। এতে করে রাস্তার দূরত্ব কমেছে, ঘটেছে সময়ের সাশ্রয় আর হ্রাস পেয়েছে ঝুঁকি। সর্বোপরি জীবনযাত্রা সহজ ও উন্নত হয়েছে। সেতুগুলো নির্মাণে যথাযথ স্থান নির্বাচন ও মান অনুসরণ করা হয়েছে বলে তাঁরা মত প্রকাশ করেছেন। প্রায় ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের তেলকুপি পাঁচ আনিপাড়ায় খালের উপরে সেতু নির্মাণে উচ্ছ¡সিত এলাকার বাসিন্দারা।
সেতু নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারী জাকির হোসেন বলেন, দরপত্রে উল্লেখ না থাকলেও সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত সেতুর উচ্চতায় প্রচুর মাটি প্রয়োজন হয়। বৃষ্টির কারনে মাটি সরে গেলে আবার তা পূরণ করে দিতে হয়, এভাবে মুনাফা হিসেবে জামানতের টাকাটাও প্রায় শেষ হয়ে যায়। প্রকল্পের পরবর্ত্তী পর্যায়ে দরপত্রে মাটির সংস্থান থাকা উচিৎ বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি বিগত সরকারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য থাকার সুফল হিসেবে নাটোর ও নলডাঙ্গা উপজেলায় অসংখ্য সেতু নির্মিত হয়েছে এবং এলাকার জীবনযাত্রার মানউন্নয়ন ঘটেছে ব্যাপকভাবে।
নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আকতার বানু বলেন, উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে নির্ধারিত মান অনুযায়ী সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ স¤পন্ন হয়েছে ও হচ্ছে। এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই সেতুগুলো অনন্য ভ‚মিকা পালণ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ