Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বোরোর বাম্পার ফলনেও বিরামপুরের কৃষকের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

বিরামপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা­ | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

ধানের জেলা দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় এবার বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষককুল। কিন্তু ফসলের দাম কি হবে তা নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন কৃষকগণ। প্রতি বছরের ন্যায় এ উপজেলার কৃষিসম্প্রসারণ অফিসের দিক নির্দেশনায় এলাকার চাষীরা বিভিন্ন জাতের বিশেষ করে জিরাসাইল, ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯, বিআর-১৬, ব্রিধান-৫৮, সম্পাকাটারী ও মোটাধান চাষ করে আসছে। মাঠ ধানে ধানে ভরে গেছে। সুষম সার, সঠিক সমায়ের চারা রোপন, সারিতে রোপন পাচিং প্রযুক্ত এখন চোখে পড়ার মত।
এ কারনে বিরামপুর উপজেলায় প্রতি বছর ধানের বাম্পার হয়। চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সার, বীজ, কিটনাশকের দাম চড়া, শ্রমিক সঙ্কট ও মজুরি বেশী। এসব কারনে চাষীরা লাভের মুখ দেখতে পান না। গত আমন মৌসুমে ধনের দাম পড়তির কারনে অনেকের ঘরে শত শত মন আমন ধান বিক্রী করতে পারেনি। তারপর এবার বোরো ধানের মূল্য কেমন হবে? দাম পাবো তো? এসব দু:শ্চিন্তায় কাটছেনা চাষীদের।
সরেজমিনে ঘুরে বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউপির খিয়ার তেঘরিয়া গ্রামের চাষী জহুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, গত আমন মৌসুমে আমি প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করে দাম পড়তির কারনে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে ৩ বিঘা জমি বন্ধক রেখে পুনরায় বোরো ধান লাগিয়েছি, ধানের যে বাজার, কি হবে আল্লাহ জানেন বলে তিনি জানান। এলাকার কৃষকেরা সরাসরি সময়মত সরকার কৃষকের কাছ থেকে উপযুক্ত দামে বোরো ধান কিনার দাবি জানায়।
বিরামপুর উপজেলা কৃষিঅফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, এবার এ উপজেলায় ১৬,১৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ৬৬,০৫৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ