পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বিএনপি বলেন আর ঐক্যফ্রন্ট বলেন, সবাইকে সংসদে আসতেই হবে। কারণ সংসদ ছাড়া আর আপনাদের কথা বলার জায়গা নেই। আমাদের বিরুদ্ধেই তো বললেন। বলেন, তবে সংসদে এসে বলেন।’
রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নিরাপদ সড়কের দাবি, মাদক ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে আয়োজিত অভিভাবক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাহাদাত হোসেন, লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নাসিম বলেন, ‘নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদক কিংবা জঙ্গির কোনো দল থাকতে পারে না। তাই আমি অনুরোধ জানাব, আসুন আমাদের সমর্থন দিন এবং মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করি।’
বিএনপি নেতারদের উদ্দেশে নাসিম বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিলেন তবে নির্বাচনের পর কেন পালিয়ে গেলেন? মাদক-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আপনাদের লড়াই করার আহ্বান জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু আসছেন না। আপনারা কথা বলেন প্রেস কনফারেন্সে। আপনাদের নির্বাচিতদের সংসদের আসতেই হবে। একজন বিএনপি নেতা শপথ নিয়েছেন তাকে অভিনন্দন জানাই। ৩০ তারিখ শেষ সময়। আসতেই হবে। কথা বলতে হলে সংসদের বিকল্প নেই। বিএনপির সিনিয়র নেতারাই হয়তো চান না নির্বাচিতরা সংসদে না যাক। সংসদে যাবেন না তো সব হারাবেন। নির্বাচনে হেরেছেন, নির্বাচনী মাঠ হারিয়েছেন। এখন বাকি শুধু সংসদ। না আসলে সংসদও হারাবেন।’
নুসরাত হত্যা সম্পর্কে মো. নাসিম বলেন, ‘নুসরাত আহত হওয়ার পর শেখ হাসিনা মাতৃছায়ায় এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু নুসরাতকে বাঁচানো যায়নি। একজন মাদরাসা শিক্ষক কীভাবে ছাত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে শিক্ষক নয়, মানুষরূপী হায়েনা।’
নাসিম আরও বলেন, ‘আজ এক ধর্মের মানুষ আরেক ধর্মের মানুষের ওপর হামলা করছে। নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা, শ্রীলঙ্কায় স্টার সানডেতে গির্জায় হামলা। মুসলমান, বুদ্ধিস্ট, খ্রিষ্টান, হিন্দু সবাই হত্যায় জড়াচ্ছে। গুলশানের হলি আর্টিসান হামলায় অংশগ্রহণকারীরা আপনার আমার ভাই। কারো সন্তান।’
তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। মুসলিম হয়ে কী করে মানুষ হত্যায় লিপ্ত হয় তারা? এটা মেনে নেয়া যায় না। আমরা কেউ চাই না আমাদের সন্তানরা বিপথগামী হোক।’
নাসিম বলেন, ‘রাজনীতি মানুষের জন্য। স্লোগান, গলাবাজির জন্য না। মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলবে। আমি সাবধান করে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ যদি মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাঠে নামে তাহলে কোনো মাদক ব্যবসায়ী ঘরে থাকতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘মাদক অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে। আমি নিজে কোনো দিন ধূমপান করি নাই, আমার সন্তানও করে না। আপনাদের সন্তানেরও একইভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করতে হবে। নিজে মাদক সেবন করবেন না, সন্তানকেও করতে দেবেন না।’
এরপর উপস্থিত সবাইকে মাদকবিরোধী অবস্থানে থাকার জন্য শপথ করান নাসিম।
নিরাপদ সড়কের ব্যাপারে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘সবাই ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করুন। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মালিকরা চালকের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেবেন না। যেসব গাড়ির মালিক আইন মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন হবে। আমি অনুরোধ করব পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে, আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে যেন তারা নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের চেষ্টা করেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।