পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ম্যালেরিয়া নির্মূলে এই কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডার নিয়ে একত্রে কাজ করতে হবে। তাহলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে (এসডিজি) ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা অবশ্যই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করতে পারব। তবে এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্টেকহোল্ডারদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ মালেক এমপি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস-২০১৯ উপলক্ষে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থাসমূহ এই সেমিনারের আয়োজন করে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ-এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক ও কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. সানিয়া তহমিনা, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস ও ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বারডান জাং রানা প্রমূখ।
মোহাম্মদ জাহিদ মালেক এমপি বলেন, ২০০৮ সালে ম্যালেরিয়া রোগে মৃর্ত্যুর সংখ্যা যেখানে ছিল ১৫৪ জন, ২০১৮ সালে তা কমে ৭ জনে নেমে এসেছে। এটা অবশ্যই আমাদের বড় অর্জন। এ অর্জন অব্যাহত রাখতে হলে শুধু ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা নয়, বরং মশার উৎপত্তিস্থলও ধ্বংস করতে হবে।
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগের সরকারি অনুমোদন পেয়েছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে ৫ হাজার নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রত্যেকে সচেতন ও নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে ২০৩০ সালের আগেই ম্যালেরিয়া নির্মূল সম্ভব হতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে অর্থায়ন কোন সমস্যা হবে না বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
ডা. সানিয়া তহমিনা সীমান্তবর্তী এলাকায় ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি এড়াতে আঞ্চলিক টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে বলে সেমিনারে তুলে ধরেন।
ড. মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, ম্যালেরিয়া নির্মূলে আমরা অবশ্যই প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এ মুহূর্তে রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসার পাশাপাশি আমাদের বড় কাজ হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা। এর প্রচার ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পেলে ২০৩০ সালের মধ্যেই ম্যালেরিয়া নির্মূল সম্ভব।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ম্যালেরিয়া নির্মূলে আশাব্যঞ্জক সাফল্য থাকলেও এখনও দেশের প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৩টি জেলায় এর প্রাদুর্ভাব বেশি। এই জেলা গুলোর মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি সীমান্তবর্তী, পাহাড় ও বনাঞ্চলবেষ্টিত হওয়ায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি, যেখানে দেশের মোট ম্যালেরিয়া রোগীর শতকরা প্রায় ৯১ ভাগই সংঘটিত হয়ে থাকে। এতে আরও বলা হয়, ২০০৮ সালের তুলনায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা শতকরা ৮৮ ভাগ এবং মৃত্যুর হার প্রায় ৯৫ ভাগ কমেছে।
এদিকে এবারই প্রথমবারের মতো সারা দেশের ৬৪টি জেলায় একযোগে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে সেমিনারের পাশাপাশি ছিল জনসচেতনতামূলক শোভাযাত্রা, স্বাস্থ্য ক্যাম্প ও ডক্যুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং বেসরকারি ও সরকারি টেলিভিশনে বিশেষ টক শো। রাজধানীর ঢাকাতেও বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে সিরডাপে গিয়ে শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।