পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, মিডনাইট ভোটের সরকারের মন্ত্রীরা যা বলেন, সাথে সাথে তার উল্টোটা ঘটে। ক’দিন আগে বানিজ্যমন্ত্রী ঘটা করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন-রমজানকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়বে না। তার পরদিনই হু হু করে দাম বেড়েছে প্রায় সকল পণ্যের। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্রেতারা। মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। পবিত্র রমজানের প্রাক্কালে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থ সরকারকে আমরা ধিক্কার জানাই। বুধবার (২৪ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারেও পেয়াজের দাম প্রতি কেজি বিক্রয় হয় ২৫ টাকায়। এর এক সপ্তাহ আগে বিক্রয় হয় ২০ টাকায়। মঙ্গলবার সবকটি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৬ থেকে ২৭ টাকায়। একইভাবে এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি রসুন বিক্রয় হয়ছিল ৮০ টাকায়। এখন তা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আলু প্রতি কেজি ১৬ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রয় হচ্ছে ২০ টাকায়। প্রতি কেজি চিনি ৫২ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রয় হচ্ছে ৫৬ টাকায়। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৯০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রয় ৯৮ টাকায়। এভাবে বেড়েছে ছোলা, ডাল, আদা, ময়দা, কাঁচামরিচসহ সবরকম নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। যা কিনতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ক্রেতারা। অল্প আয়ের মানুষরা রমজানের আগে আঁতকে উঠছে হু হু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের এই মূল্য বৃদ্ধিতে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি কর্মসূচি দেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রতিবাদ করলাম এটাও কর্মসূচির অংশ। দলীয় ফোরামে আলাপ করে জনগণকে সচেতন করতে অবশ্যই আমাদের কর্মসূচি থাকবে।
ওয়াসার পানির বিষয়ে রিজভী বলেন, অবৈধভাবে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা কখনোই জনস্বার্থ দেখে না, জনকল্যাণ করতে পারে না। সারা ঢাকা শহরে ওয়াসার দূষিত পানির সরবরাহে জনজীবন এখন ভয়ঙ্কর রকম সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নির্বিকার। বাড়ীতে বাড়ীতে টায়ফয়েড, ডায়রিয়া, জ্বর মহামারী আকার ধারণ করেছে। এখন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মতো গরীব মানুষদের অবস্থা। একদিকে আনাজ-পাতির অগ্নিমূল্য অন্যদিকে দূষিত পানি পান জনজীবনকে করে তুলেছে দূর্বিষহ। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজে ওয়াসার পানি পান করেন না, অথচ তিনি বলছেন-ওয়াসার পানি ১০০ ভাগ বিশুদ্ধ। অবৈধ সরকার নিজে টিকে থাকার জন্য সারা জাতিকেই অসুস্থ বানাতে উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়াসার মানববিধ্বংসী নীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুল হক নান্নু প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।