বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালের হিজলা উপজেলায় ৮ম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে মামলা দায়ের করতে গেলে হিজলা থানা পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগের পরিবর্তে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা নিয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে।
গত ৩০ মার্চ সজিব গাজী (১৭) নামের প্রতিবেশী এক বখাটে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে ছাত্রীটি অভিযোগ করেছে। জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি জানতে পেরে বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পর ছাত্রী ও তার অভিভাবকদেরকে তার দফতরে ডেকে মেডিকেল পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন তিনি। অভিযুক্ত ধর্ষক সজীব গাজী হিজলার চরমেমানিয়া গ্রামের নুরুল হক গাজীর ছেলে এবং মোস্তাফিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রীটি অভিযোগ করেন, ৩০ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সজিব ছাত্রীটির বাসায় ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। তখন ছাত্রীটি বাসায় একা ছিল। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সজীব পালিয়ে যায়। পরদিন তার অভিভাবকরা স্থানীয়ভাবে বিচার দাবি করেন। ছাত্রীটি জানান, স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষকের পরিবারের সঙ্গে আপোষের প্রস্তাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছাত্রীর বাবা জানান, এ ব্যাপারে গত ১৩ এপ্রিল হিজলা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ তাদের কম্পিউটারে ধর্ষণ চেষ্টার এজাহার লিখে এনে স্বাক্ষর নেয়। পরে ছাত্রীটি বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা আদালতে শুনানীর জন্য রাখা হয়েছে।
তবে ছাত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হিজলা থানার ওসি মাকসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ছাত্রীটি যেভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সেভাবেই এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে। থানার কম্পিউটারে এজাহার লিখে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।