Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিলাবৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতিতে কৃষকের মাথায় হাত

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে বোরো ধানের ফলনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় হওয়া এ শিলা বৃষ্টিতে ধান ঝরে যাওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত রোপা আমনে ধানের নায্য না পাওয়া তার উপরে আবার এমন শিলা বৃষ্টিতে কৃষকরা বিনিদ্রিত দিন রাত কাটাচ্ছেন।
গোদাগাড়ী পৌর এলাকার কৃষক মামুন জানান, শিলা বৃষ্টিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সকালে গিয়ে জমিতে দেখি আমার প্রতিটি ধান গাছে যে পরিমাণ ধান ছিলো তা ঝরে গিয়ে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে করে ধানের ফলন অনেক কমে যাবে। উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি আরোও বলেন, ৮ বিঘা বোরো আবাদে খরচ হয়েছে বিঘাপ্রতি ৮ হাজার টাকা। ধানের বাজার মূল্য অনেক কম থাকায় ধান বিক্রয় করে খরচের টাকা উঠাতো দূরের কথা বরং সারের দোকানে আমাদের ঋণ হয়ে যাবে। ধান উঠা মাত্রই সার ও কীটনাশক দোকানের মালিকরা বাকি টাকা নেবার জন্য চাপ দিতে থাকে ফলে ধান আবাদ করতে এখন ভয় হয়।
উপজেলার ভাজনপুর এলাকার কৃষক দুলুদেব বলেন, কয়েক দিন আগে রাতের শিলা বৃষ্টিতে আমাদের ধানের শীষ থেকে ধান শুধু ঝরেনি ধান গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। ফলে ধানের ফলন কমে যাবে। বিঘা প্রতি ফলন প্রায় ৩-৪ মণ কমে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ধানের নায্য দাম পাওয়ায় আবাদ করে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। সরকার ধানের বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে কৃষকরা স্বস্থিতে থাকবে। সব কিছুর দাম বাড়লেও কৃষকের কষ্টে ফলানো ধানের দাম কমে যাচ্ছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,এবার গোদাগাড়ী উপজেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে। আবাদের মৌসুমে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ধানের গাছ ও শীষ বেশ ভাল দেখায়। কিন্তুহতে অতিমাত্রায় শিলা বৃষ্টির কারণে ধানের উৎপাদন কমে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিলা বৃষ্টিতে ধানের তেমন ক্ষতি হওয়ার কথা না। গোদাগাড়ী সদরে বেশী শিলা বৃষ্টি হয়েছে তবে বাইরে তেমন হয়নি। যেসব ধানের পরাগায়ন ও ফুল এসে গেছে সেগুলোতে তেমন ক্ষতি হবে না। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হবে তা জানতে মাঠ পর্যায়ে আমাদের জরিপের কাজ চলছে।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ