Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সিজারিয়ানে ভাঙা সুইচ রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

নেছারাবাদে নার্সের অবহেলায় প্রসুতির গোপনাঙ্গে ভাঙ্গা সুইচ রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স গৌরির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোগী নার্স গৌরি ও সুমিত্রাকে দায়ি করে বিচার চেয়ে অত্র হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন। গত ৫ মার্চ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ষ্টাফ নার্স গৌরি ও সুমিত্রার খাম খেয়ালিপনায় হাসপাতালে বসে রোগীর ডেলিভারিতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক মাসেরও বেশি সময় অতিক্রম হওয়ার পরে গত ১৭ এপ্রিল উপজেলার একটি বেসরকারি প্রাইভেট ক্লিনিকের নার্সের অস্ত্রপাচারে ঘটনাটি ধরা পরেছে। বেসরকারি ক্লিনিকটির ওই নার্স দরদ্রি প্রসুতির সেলাই করা লজ্জাস্থানে অস্ত্রোপাচার করে ভাঙ্গা সুইচটি বের করেছেন। সরকারি হাসপাতালের গৌরির অবহেলাজনিত চিকিৎসায় বর্তমানে সনিয়া বেগম (২৬) নামে ওই প্রসুতি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছেন। তবে অভিযোগ অনেকটা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত নার্স গৌরি।
অভিযুক্ত নার্স গৌরি বলেন, ওই দিন হাসপাতালে সনিয়ার ডেলিভারিটি তিনি করেছেন। তবে অনাকাঙ্খিতভাবে সনিয়ার সেলাইস্থানে সুইচ ভেঙ্গ থেকে যেতে পারে। কিন্তু ঘটনা যদি তাই ঘটেই থাকে তাহলে গৃহবধূ সনিয়া কেন তার সাথে যোগাযোগ করেননি। এজন্য বিষয়টি তিনি ষড়যন্ত্রমুলক বলে দাবী করছেন। তবে অভিযোগকারি সনিয়া বলেন, নার্স গৌরি ভালভাবে তার ডেলিভারি করার পরিবর্তে কোন রকমে চিকিৎসা দিয়ে তার কাছ থেকে ১৪০০টাকা বকশিষ রেখেছেন। ডেলিভারির পর সে (সনিয়া) শরীরের অসুস্থতার কথা নার্স গৌরিকে জানানোর জন্য বার বার হাসপাতালে আসলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের ডাক্তার আসাদুজ্জামান জানান, গৌরির কাছ থেকে শুনেছি তার ডেলিভারিটি হাসপাতালের নার্স গৌরি ও সুমিত্রা করেছিলেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য একবার আলোচনায় বসা হয়েছিল। উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি জেনে এখনো সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে অত্র হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ তানভীর আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি প্রথমে হাসপাতালের ডাক্তার আসাদুজ্জামান ও অভিযুক্ত নার্স গৌরি কাছ থেকে শুনেছি। এ নিয়ে আমার অবর্তমানে ডাক্তার আসাদুজ্জামান ওই অভিযোগকারি সনিয়ার পরিবারের লোকদের নিয়ে একবার আলোচনার জন্য হাসপাতালে বসেছিলেন। এ ব্যাপারে ওই রোগী আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একটি তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি করে রিপোর্ট প্রদানের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ