Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইন্দুরকানীতে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) মোঃ মনিরুজ্জামান খান | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

স্কুল ভবন জড়াজীর্ণ ও নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। দিন দিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থী সংখ্যা। তারপরও ভবন নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই। ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হওওয়ায় ওই ভবনে এখন ভয়ে কেহ ঢুকছে না। বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষকরা পাঠদান করাচ্ছেন। এ চিত্র পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের ২১ নং দক্ষিণ কালাইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এ বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে স্থাপিত হয়।বর্তমান ভবনটি ১৯৯৩সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্মাণ করেন। বিদ্যালয়টি একেবারে জরাজীর্ণ, ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে, দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে, প্লাষ্টার খসে পড়ছে, ফ্লোর ভেঙ্গে গেছে এবং কয়েক স্থানে ফ্লোর দেবে গেছে। এ অবস্থা চললেও এখন পর্যন্ত ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। তাই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শ্রেণি কক্ষগুলো তালাবদ্ধ করে বিদ্যালয় মাঠে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৭৭ জন শিক্ষার্থী থাকলেও ঝুকিপূর্ণ ভবনের কারণে শিক্ষার্থী কমে গেছে বলে শিক্ষকরা জানান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনটি একেবারে জড়াজীর্ণ। শিক্ষকরা খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে পাঠদান করাচ্ছেন। নতুন ভবনের জন্য অনেকবার আবেদন করলেও নতুন ভবন নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া উপজেলার ৬নং পশ্চিম চাড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯নং উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮ নং চরণী পত্তাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫নং মধ্য কালাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩১ নং পূর্ব চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩০ নং পশ্চিম বালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৮টি বিদ্যালয়ের ভবন একেবারে জড়াজীর্ণ।
২১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম লোকমান হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি একেবারে জড়াজীর্ণ। তাই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। ভবন না থাকায় দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পূরবী রানী দাস জানান, ভবনটি জড়াজীর্ণ হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে। পরিত্যক্ত ও ঝ‚কিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এই বিদ্যালয়টির নাম তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান চালিয়ে রাখার জন্য দ্রুত ভবন নির্মাণ প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ