বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাভারের আশুলিয়ায় টোকেন নম্বর দিয়ে অটোরিকশা ও মাহেন্দ্র থেকে যুবলীগ নেতা কবির সরকার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নরসিংহপুর থেকে কাসেমপুর এলাকা পর্যন্ত চলাচলরত বিভিন্ন অটোরিকশা থেকে প্রতিদিন ১শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। তাদের হাত থেকে বাদ যায়নি লেগুনা, মিনিবাস ও মাহেন্দ্র। এসব গাড়ি থেকেও প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুলিয়ার নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কাসেমপুর পর্যন্ত ওই সড়কে দু’শতাধিক অটোরিকশা চলাচল করে। প্রতিদিন এসব অটোরিকশা থেকে ৫০ টাকা ও মাসে ১শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির সরকারের লোকজন। আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল মহাসড়কে নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে চলাচলরত দেড় শতাধিক মিনিবাস ও লেগুনা থেকেও প্রতিদিন ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয় চালকদের। এ ছাড়াও কাশেমপুর সড়ক দিয়ে চলাচল করে প্রায় অধর্শত মাহেন্দ্র। প্রতিদিন এসব মাহেন্দ্র থেকেও ১শ’ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব মাহেন্দ্র থেকে টাকা আদায়ের দায়িত্বে রয়েছে লাইনম্যান বাবু। প্রতিটি মাহেন্দ্র থেকে ১শ’ টাকা করে আদায় করার পর দিনশেষে ওই টাকা স্থানীয় যুবলীগ নেতা আপেলের হাতে তুলে দেন তিনি। এছাড়াও প্রতি মাসে প্রতিটি মাহেন্দ্র থেকে জমা বাবদ ১২শ’ টাকা ও ভর্তির (সড়কে মাহেন্দ্র চালানোর অনুমতি) জন্য ৫ হাজার টাকা নেয়া হয় বলেও জানা গেছে। আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন লেগুনা ও মিনিবাস থেকে জিপি বাবদ নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা আদায় করছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা বেলায়েত, রাসেল ও সোহেল। এতে করে ওই এলাকার অটোরিকশা, মাহেন্দ্র, মিনিবাস ও লেগুনা থেকে মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
লেগুনা চালক হান্নান বলেন, তিনি বাইপাইল থেকে আশুলিয়া বাজার এলাকা পর্যন্ত লেগুনা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ এ এলাকায় লেগুনা চালিয়ে আসছেন। নরসংিহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাকে প্রতিদিন ৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। যুবলীগ নেতার লোক সোহেল এ টাকা আদায় করেন বলে তিনি জানান।
একাধিক অটোরিকশা চালক বলেন, যুবলীগ নেতার লোকজন স্থানীয় প্রভাবশালী। তাদেরকে নিয়মিত চাঁদা না দিলে অটোরিকশা চালানোই বন্ধ করে দেয়। আর তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেতো এলাকায় থাকা দায় হয়ে পরবে। তবে এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত জাবেদ মাসুদ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।